যে ৮ কারণে খাবেন গুড়ের চা
|
শীতের সকালে মসলা ও খেজুর গুড়ের গরম গরম এক কাপ চা খেতে যেমন উপাদেয়, তেমনি এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী। আখের গুড় দিয়েও বানিয়ে ফেলা যায় স্বাস্থ্যকর চা। প্রাকৃতিক মিষ্টির চমৎকার উৎস গুড়। পাশাপাশি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো উপাদানগুলো মেলে গুড় থেকে। জেনে নিন কোন কোন কারণে চিনির বদলে গুড়ের চা খাবেন। আয়রনের একটি চমৎকার উৎস গুড়। আয়রন অপরিহার্য খনিজ যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে এবং আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গুড়ের চা নিয়মিত খেলে আয়রনের পরিমাণ বাড়বে। মসলা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন গুড়। এগুলোতে থাকা উপকারী খনিজ ও পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। চায়ে ব্যবহৃত লবঙ্গ, দারুচিনি, আদা ইত্যাদিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মৌসুমী ঠান্ডা এবং ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি গুড় আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং বাইরের ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে।শীতকালে আমাদের শরীর সবচেয়ে কম শক্তি খরচ করে। এই কারণেই ক্যালোরি পোড়ানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে গুড় সাহায্য করতে পারে আপনাকে। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া হলে এটি বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবগ্ন ওজন কমাতে সহায়তা করে। গুডড়ের চা হজমের জন্যও ভীষণ উপকারী। চায়ে থাকা মসলা এবং গুড়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো দ্রুত এবং সহজে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গুড় রক্তনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে।মসলা ও গুড়ের গরম চা গলা ব্যথার জন্য প্রশান্তিদায়ক হতে পারে। সাধারণ সর্দি এবং কাশির উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতেও এই চায়ের জুড়ি নেই। গুড়ে উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ফলে গুড়ের চা দ্রুত শক্তির উৎস হিসেবে আপনাকে চাঙা করে তুলতে পারে।যেভাবে বানাবেন গুড়ের চাগুড়ের চা দুইভাবে বানানো যায়। আদা, তুলসী এবং কালো মরিচের মতো উপাদান দিয়ে এর স্বাদ বাড়াতে পারেন। আবার দুধের সাথে গুড় মিশিয়েও বানিয়ে ফেলতে পারেন গুড়ের চা। দুধের বদলে মসলা দিয়ে গুড় চা বানালেই উপকার পাবেন বেশি। অনেক সময় দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে চা বানাত গেলে দুধ ফেটে যায়। এজন্য কিছু টিপস মেনে বানান চা- গুড়ের চা বানানোর সময় প্রথমে পানি ফুটিয়ে নিন। আদা, এলাচ ও গুড় দিয়ে কিছুক্ষণ ফোটান। চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা দুধ না দিয়ে গরম দুধ দিন। দুধ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলা বন্ধ করে দিন। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
|