এভাবে ক্যাচ ছাড়লে মূল্য তো দিতেই হবে: হেরাথ
|
![]() বুধবার দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। ক্যাচ ছাড়ার প্রভাব কতটা পড়েছে, সেটা জানালেন তিনি, ‘অবশ্যই। এভাবে ক্যাচ ছেড়ে দিলে তো মূল্য চুকাতে হবে। যেমন উইলিয়ামসনেরটা। সুযোগ পেয়ে সে ৬০-৭০ রান বেশি করেছে। আমাদের এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’ সিলেটের মাঠে স্পিনারের আধিপত্য থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক। নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররাও প্রথম ইনিংসে দাপট দেখান। এরপর কিউইদের হারানো আট ব্যাটারের মধ্যে সাতজনকেই ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। স্বাভাবিকভাবেই স্পিনারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি ঝরেছে হেরাথের কণ্ঠে, ‘সব মিলে স্পিনাররা ভালোই করেছে। তবে আমরা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। আমরা ৮ উইকেট শিকার করেছি, সে হিসেবে দিনটা ভালোই। তাইজুল আমাদের লিডিং স্পিনার। অনেক দিন ধরেই সে আমাদের জন্য লড়ছে। সে চাপ সৃষ্টি করে, ভালো করতে মরিয়া হয়ে থাকে। এভাবেই আজ ৪ উইকেট পেয়েছে। উইকেট অনুযায়ী বল করে। আমি তার বোলিং নিয়ে খুশি।’ বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান নেই। তার জায়গায় মূল দায়িত্বটা পালন করতে হতো আরেক বাঁহাতি তাইজুলকেই। সেই কাজটা ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সুনিপুণভাবে করেছেন তিনি। তাই তো তাকে আলাদাভাবে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন হেরাথ, ‘সাকিব খেলছে না, তবে তাইজুল বড় এক ভূমিকা পালন করছে। সে একইসাথে আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক। সে সবসময় লাইন লেন্থের ওপর নির্ভর করে। সেটাই ধরে রাখতে হবে।’ তাইজুলের পাশাপাশি নাঈম, মিরাজরাও দারুণ বোলিং করেছেন। তাদের প্রশংসা করে বাংলাদেশের স্পিন কোচ বলেছেন, ‘নাঈম কয়েক বছর পর খেলছে। যে খেলোয়াড় দলে ছিল না সে এসে এত ভালো করছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সে ভালো চাপ তৈরি করেছিল। ভালো লাইন লেন্থে বল করেছে, আত্মবিশ্বাসীও ছিল। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভালো এক সম্ভাবনা।’
|