সুখী দম্পতিদের ৫ অভ্যাস
|
![]() ১. একই সময়ে বিছানায় যান বিয়ের পরের সময়গুলোর কথা মনে করুন, যখন দু’জন একইসঙ্গে বিছানায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন, কখন দু’জন একান্তে সময় কাটাবেন আর কখন নিজেদের মনের সব কথা একে অন্যকে বলতে পারবেন। সুখী দম্পতিরা কিন্তু এই অভ্যাস সব সময়েই ধরে রাখে। তাদের সম্পর্কের বয়স বাড়লেও সম্পর্ক পুরনো হয় না। তারা একই সময়ে বিছানায় যায় এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠে। পরস্পরের স্পর্শ তাদের কাছে প্রশান্তিদায়ক হয়। ২. হাতে হাত রেখে বা পাশাপাশি হাঁটেন সুখী দম্পতিরা আরামে হাতে হাত রেখে বা পাশাপাশি হাঁটেন। তারা জানেন যে পথের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার চেয়ে তাদের সঙ্গীর সাথে থাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা সঙ্গীকেই সবার আগে গুরুত্ব দেন। তারা সামনে-পিছনে নয়, দুজনে পাশাপাশি হাঁটেন এবং যতক্ষণ সম্ভব একে অন্যের হাত ধরে রাখেন। ৩. বিশ্বাস এবং ক্ষমা করেন দু’জন মানুষের মতামত কখনোই একইরকম হবে না। তাই সংঘাত হতেই পারে। মতের অমিল হলেই যে সেই মানুষটি আপনার জন্য ভুল, এমন কিছু নয়। ঝগড়া কিংবা ভুল বোঝাবুঝি হলেও সুখী দম্পতিরা অবিশ্বাস করেন না বা দূরে সরে যান না। তারা ক্ষমা ও বিশ্বাস করতে জানেন। যে কারণে তাদের সুখী জীবন কাটানো সহজ হয়। ৪. সঙ্গীর ভুল খোঁজেন না মানুষ যাকে ভালোবাসে তার ভুল খুঁজে বেড়ায় না। ঠিক এই কাজটিই করেন সুখী দম্পতিরা। কারণ তারা সঙ্গীর ভুল খুঁজে বেড়ানোর পরিবর্তে গুণগুলো অনুভব করার চেষ্টা করেন। সুখ মূলত আপনাদের হাতেই। আপনি জীবনকে যেভাবে দেখতে চান, সেভাবেই এগিয়ে যেতে পারবেন। তাই সুখী দম্পতি হতে চাইলে দু’জনকেই একে অন্যের দোষ ধরে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে। এর বদলে তুলে আনতে হবে একে অন্যের ভালো দিকগুলো। ৫. বাড়িতে ফিরেই আলিঙ্গন করেন দিনশেষে নিরাপদ আশ্রয় হলো বাড়ি। যার যার কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যখন পরস্পরের দেখা হয়, সুখী দম্পতিরা তখন একে অন্যকে আলিঙ্গন করেন। তারা একে অন্যের স্পর্শে চাঙ্গা হয়ে ওঠেন। সারাদিনের ক্লান্তির অনেকটাই কেটে যায় এই আলিঙ্গনে। নিজেদের সুখী দম্পতি হিসেবে দেখতে চাইলে এই অভ্যাস ধরে রাখুন।
|