বাংলাদেশকে ২৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে অলআউট নিউজিল্যান্ড
|
মানকাডিংয়ে আউটটা যদি বাংলাদেশের অধিনায়ক এবং বোলার হাসান মাহমুদ ফিরিয়ে না দিতেন, তাহলে ইশ সোধি আউট হয়ে যেতো ১৭ রানের মাথায়। কিন্তু তাকে আউট না করে সাজঘরে যাওয়ার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার পর সেই সোধি শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ৩৫ রানে। যার ফলে নিউজিল্যান্ডও বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়েছে ২৫৪ রানের মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং এক স্কোর। যদিও ৪৯.২ ওভারে অলআউট হয়েছে কিউইরা। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন টম ব্লান্ডেল। বাকিরা বড় কোনো স্কোর করতে না পারলেও বেশ কিছু মাঝারিমানের স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার খালেদ আহমেদ এবং অফ স্পিনার শেখ মাহদি হাসান। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি কিউইদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫ রানে প্রথম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৮ বলে ০ রান করেন মোস্তাফিজের লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন উইল ইয়ং। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারে মোস্তাফিজ ফিরিয়েছেন ফিন অ্যালেনকে (১২)। প্রথম স্লিপে ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কিউইরা। টেস্ট দলে তিনি প্রায় নিয়মিত। তবে ওয়ানডে অভিষেক হলো আজই। অভিষেক ম্যাচে প্রথম ওভারেই ঝলক দেখালেন খালেদ আহমেদ। কিউই ইনিংসের অষ্টম ওভারে খালেদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করলেও এরপর দারুণভাবে লাইন ফিরে পান খালেদ। পঞ্চম বলে তিনি স্কয়ার লেগে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান অনেকটাই সেট হয়ে যাওয়া চাদ বয়েসকে (১৯ বলে ১৪)। ৩৬ রানে ছিল না ৩ উইকেট। সেই বিপর্যয় থেকে কিউইদের উদ্ধার করেন হেনরি নিকোলস আর টম ব্লান্ডেল। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত পেসার খালেদ আহমেদ। নিকোলসকে হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফিরিয়েছেন তিনি। ৬১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯ করে খালেদকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন নিকোলস। এরপর রাচিন রাবিন্দ্রকেও থিতু হতে দেননি শেখ মাহদি। ১৪ বলে ১০ করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় কিউই ব্যাটারকে। দেখেশুনে খেলছিলেন টম ব্লান্ডেল। কিন্তু হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে স্টাম্প খুঁজে পাননি এই ব্যাটার। ৬৬ বলে ৬৮ রানে থামে ব্লান্ডেলের ইনিংসটা। ১৮৭ রানের মাথায় আউট হন কোল ম্যাকোনচি। ৩৩ বলে ২০ রানে করে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। এরপর কাইল জেমিসন এবং ইস সোধি মিলে গড়ে তোলেন ৩২ রানের জুটি। ২৮ বলে ২০ রান করে দলীয় ২১৯ রানের মাথায় আউট হন কাইল জেমিসন। লকি ফার্গুসন আউট হন ২৪০ রানে। তিনি করেন ১৩ রান। শেষ ব্যাটার হিসিবে আউট হন ইস সোধি। ৩৯ বলে ৩৫ আউট হন সোধি।
|