বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩
৮ চৈত্র ১৪২৯
নারী দিবসের প্রতীক কেন বেগুনি রং?
প্রকাশ: বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩, ৮:৪৩ পিএম |

নারী দিবসের প্রতীক কেন বেগুনি রং?প্রতিবছরের ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ বা ‘ডিজিটাল: ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি’। নারী-পুরুষের সমতার লক্ষ্যে ও নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনেই প্রতিবছর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।

তবে আন্তর্জাতিক এই দিবসে কেন বেগুনি রঙের পোশাক পরা হয় কিংবা এই রঙের সঙ্গে নারী দিবসের সম্পর্ক কোথায় সে বিষয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন? নারী দিবসের প্রতীক হলো বেগুনি রং।



বিশ্ব শান্তি দিবস সবুজাভ নীল, বিশ্ব শ্রম দিবস বা মে দিবসে লাল, পরিবেশ দিবসে সবুজ রং ইত্যাদি। প্রতিটি দিবসে আলাদা রঙের প্রতীক হওয়ার পেছনেও আছে ভিন্ন ইতিহাস।


আন্তর্জাতিক নারী দিবস মূলত বেগুনির সঙ্গে সাদার মিশেল কিংবা শুধুই বেগুনি। নারী দিবসের বেগুনি রং ভেনাসের। যা কি না নারীরও প্রতীক।

কারণ বেগুনি নির্দেশ করে সুবিচার ও মর্যাদার। যা দৃঢ়ভাবে নারীর সমতায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম শেষে বেগুনি রং এখন নারীবাদীদের প্রতিবাদের এক অনন্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আইডব্লিউডি ডটকম কেন বেগুনিকেই দিবসের প্রতীক রং ধরা হলো তা ব্যাখ্যা করেছে।



বেগুনি রঙের সংমিশ্রণ যার সবুজ ও সাদা দেখা হয় নারীর সমমর্যাদার প্রতীক হিসেবে। এর সূত্রপাত ঘটেছিল ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়ন থেকে।

বেগুনিকে দেখা হতো নারীর ন্যায়বিচার ও সম্মানের প্রতীক। সবুজ হলো আশা ও সাদা বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৮ সাল থেকে নারী দিবসের থিম কালার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বেগুনি।


ওই বছর আন্তার্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্যান্টন বেগুনি রংকে নারী দিবসের রং হিসেবে ঘোষণা দেয়। এই বেগুনি দিয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে বোঝানো হয়। আর নারীরা হবে ঠিক অতিবেগুনি রশ্মির মতো শক্তিশালী।

আরও পড়ুন: নারীদের শরীরে ডায়াবেটিসের যে ৬ লক্ষণ দেখা দেয়

নারী দিবসের ইতিহাস

১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নারী শ্রমিকদের হাত ধরেই সূচনা ঘটে নারী দিবসের। নারীর ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কয়েকজন সাহসী নারী এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রায় ১৫ হাজার নারী সেদিন নিউইয়র্ক সিটির রাস্তায় নেমেছিলেন।

নারীর অধিকার রক্ষার আন্দোলন করেছিলেন তারা। ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তাই ১৯৯৬ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রতি বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ঘোষণা করে আসছে।

১৯৭৫ সালে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র পালন করে নারী দিবস। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সদস্য দেশকে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে দিবসটি উদযাপনের আহ্বান জানানোর পর থেকে ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিবসটি। বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।












সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লায় অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মচারীর বিদায় সংবর্ধনা
ব্রাহ্মণপাড়া ওকাপের অবহিতকরণ সভা
ব্রাহ্মণপাড়ায় ১১শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ
ব্রাহ্মণপাড়ায় সমাজসেবক কাজী শাম মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার আহবান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কমলো হজের খরচ
রমজানে ছুটি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন
একই পদ্ধতি অনুসরণে সব মসজিদে তারাবিহ পড়ার আহ্বান
সোনার দাম কমলো
৭ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft