চিয়া সিড খেলেই কমবে ওজন, সারবে কোষ্ঠকাঠিন্য
|
![]() এই বীজগুলো পুদিনা পরিবারের সালভিয়া হিস্পানিকা উদ্ভিদ থেকে আহরণ করা হয়। এই ক্ষুদ্র বীজগুলো পুষ্টিতে ভরপুর। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এই বীজের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই বীজ ওজন কমানো থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাসহ নানা শারীীরক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান ডা. স্মৃতি ঝুনঝুনওয়ালার (বিএইচএমএস) মতে, চিয়া বীজকে এফপিও (ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা ৩) সমৃদ্ধ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তার মতে, এই স্বাস্থ্যকর বীজে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো সমন্বয় আছে। ফলে এই বূঝ খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে। এছাড়া এসব পুষ্টিগুণ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এই বীজগুলো বিশেষ অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যার মধ্যে প্রদাহ বিরোধী ও অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য আছে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলোকে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কোয়ারসেটিন ও কেমফেরল বলা হয়। এই উপাদানগুলো কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। চিয়া বীজে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম অদ্রবণীয় ফাইবার খাওয়া উচিত। দিনে মাত্র ৪-৫ চামচ এই বীজ খেলেই অদ্রবণীয় ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয়। তবে মনে রাখবেন, মেদ কমাতে ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে। কেন খাওয়ার আগে বীজ ভিজিয়ে রাখবেন? গাছের এই বীজে ফাইটিক অ্যাসিড থাকে। যা শরীরে আয়রন, জিংক ও ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। ভিজিয়ে রাখার পর এই অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায় ও বীজ খাওয়ার জন্য নিরাপদ হয়ে যায়। অন্যদিকে চিয়া বীজ ভেজানোর পর জেলের মতো রূপ নেয়, যা অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। চিয়া সিড খাওয়ার ৫ উপায় ১. পানিতে ২ চা চামচ চিয়া বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন ও সকালে পান করুন। ২. সালাদ ও ফ্রুট কাস্টার্ডের সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যায়। ৩. অন্য বীজের সঙ্গে ২-৩ চামচ চিয়া বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন। ৪. চিয়া বীজ পুডিং বা প্যানকেকে মিশিয়ে খেতে পারেন। ৫. আবার ওটমিলের সঙ্গেও খেতে পারেন। সূত্র: নিউজ ডে এক্সপ্রেস
|