ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
রাতে নিখোঁজ, সকালে মরদেহ মিলল পুকুর পাড়ে
শাহীন আলম
Published : Wednesday, 28 September, 2022 at 8:49 PM
কুমিল্লার দেবিদ্বারে জামাল সরকার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব ফতেহাবাদ গ্রামের একটি মৎস খামারের পুকুর পাড় থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর। তবে পুলিশ বলছে, নিহত জামাল হোসেনের বা হাতে ক্ষত রয়েছে। সম্ভবত মারা যাওয়ার পূর্বে মাটিতে পড়ার আঘাত এটি। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। নিহত জামাল সরকার ফতেহাবাদ গ্রামের মৈশান বাড়ীর  মৃত ওয়াহেদ আলী সরকারের ছেলে। 
নিহতের ছেলে মো. জুম্মন সরকার জানান, আমার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত। সে বিভিন্ন এলাকায় কৃষিকাজ ও মাটি কাটার দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। গতকাল সন্ধ্যায় সময় চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে আমরা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পায়নি। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শরীরে  কোন কাপড় নেই। তিনি মাটিতে পড়ে আছেন। পাঞ্জাবি এবং গামছা গাছের ডালে ঝুলে ছিল, পরণের লুঙ্গি গলায়। পুরুষাঙ্গে রক্তের দাগ ছিল। এত রাতে এ নির্জন পরিত্যক্ত মৎস খামারে যাওয়ার কোনো কারণ আমাদের জানা নেই। এটি স্বাভাবিক ছিল না, মনে হচ্ছে এটি হত্যা।
প্রতিবেশী কয়েকজন জানান, দুলালপুর বাজারে রাত সাড়ে ৮টায় একটি চায়ের দোকানে দেখেছি। এ সময় দোকানদারের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (জামাল সরকার) জানান, কুমিল্লা থেকে তার পুত্রবধূ বাড়িতে আসবেন, তাকে এগিয়ে নিতে এসেছেন। এরই মধ্যে একজন বোরকা পরা নারী আসেন, তাকে নিয়ে আসার পথে বাজারের ব্যবসায়ী তাদের কিছু পথ এগিয়ে দিয়ে যান। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক চন্দন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে জামাল সরকারের মরদেহ উদ্ধার সরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। দেবিদ্বার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে কনুইয়ের অংশে এবং মাথার পেছনে সামান্য জখমের চিহ্ন রয়েছে। অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।