ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বারে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত
Published : Tuesday, 9 August, 2022 at 12:00 AM
 
শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লার দেবিদ্বারে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার নানা আয়োজনে এ দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে সর্বস্তরের অংশগ্রহণে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক উন নবী তালুকদার। আবেদা মান্নান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. মোর্শেদ আলম ভূঁইয়া সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুজ্জামান মাস্টার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতনা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো. লুৎফুর রহমান বাবুল, দেবিদ্বার থানার  অফিসার ইনচার্জ ওসি কমল কৃষ্ণ ধর, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোসা. জেসমিন আরা বেগম, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মোসা. শিরিন  সুলতানা, সমবায় কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন ভূঁঞা, কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রউফ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় শৈশব থেকেই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যোগ্য সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে ছিলেন মহীয়সী এই নারী। যে কারণে রাজনৈতিক জীবনে সফল হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
ইউএনও আশিক উন নবী তালুকদার বক্তব্যে বলেন, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট। গোপালগঞ্জের অজপাড়া গাঁ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ফজিলাতু নেছা। বাবা শেখ জহুরুল হক এবং মা হোসনে আরা বেগমের তিন সন্তানের সবচেয়ে ছোট ফজিলাতুনেসা। মা বাবা আদর করে তাকে রেণু ডাকতেন । মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবা মাকে হারিয়ে দাদা, শেখ কাশেমের কাছে বড় হন তিনি। সাত বছর বয়সে দাদা মারা গেলে বঙ্গবন্ধুর মায়ের কাছে চলে আসেন ফজিলাতুন নেছা। তারপর মাত্র ১৩ বছর বয়সে চাচাতো ভাই শেখ মুজিবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে থেকেই পাশে ছিলেন যোগ্য জীবনসঙ্গী হিসেবে। একেএম মনিরুজ্জামান মাস্টার বলেন, দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। তাতে কখনোই দমে যাননি, একা হাতে সংসার সামলেছেন। তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিবকে কখনোই হার মানতে দেননি। শুধু নিজ পরিবারই নয়, খোঁজ রাখতেন প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদেরও। আলাদা করে দেখতেন না কাউকে। বাঙালির স্বাধীনতার জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের সর্বস্ব। আলোচনা সভা শেষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর উদ্যোগে প্রশিক্ষণার্থী ১০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ করে অতিথিবৃন্দ।