কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের কনকশ্রীর ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শান্তা বেগম (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ২৭মে সকালে কনকশ্রী স্বামীর বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শান্তা বেগম পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার গোমকট গ্রামের এছাক মিয়ার মেয়ে। শান্তার স্বামী লালমাই উপজেলার কনকশ্রী গ্রামের আবদুল শুক্করের ছেলে ওমান প্রবাসী মহিউদ্দিন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আট বছরের সংসারে এই দম্পতির কোন ছেলে সন্তান নেই। স্বামী মহিউদ্দিন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে আসবে তার জন্য শান্তার শ্বশুর ও বড় জ্যা রোজার আগে শান্তাকে গোমকট বাপের বাড়ী থেকে কনকশ্রী নিয়ে আসে।
শুক্রবার সকালে সবাই ঘুম থেকে উঠলেও একলা ঘরে থাকা শান্তা ঘুম থেকে না উঠায় সন্দেহ হয়। শ্বশুর শ্বাশুড়ির চিল্লাচিল্লিতে সবাই এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
শান্তার ভাবি কোহিনূর বলেন স্বামীর সাথে তার বনিবনা ছিলোনা। সবসময় ঝগড়া ঝাঁটি হতো। তাদের ধারণা ঝগড়া থেকেই রাগ করে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নেয় শান্তা।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, দরজা জানালা বন্ধাবস্থায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত লাশ ধরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে।