Published : Saturday, 21 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 21.05.2022 12:53:08 AM

শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
অবশেষে
মেরামত করা হয়েছে দেবিদ্বারের সেই কালভার্টের ভাঙা গর্ত। এতে ৪-৫ টি
গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ নিরসন হয়েছে। গত বুধবার কুমিল্লার
বহুপ্রচারিত পত্রিকা ‘কুমিল্লার কাগজে ‘ভাঙা কালভার্টে গাছের ডালে ঝুলছে
বিপদ সংকেত’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। সংবাদ ছাপানোর পরদিন বৃহস্পতিবার
রাতে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের নিজস্ব
অর্থায়নে কালভার্টের ভাঙা অংশটুকু মেরামত করা হয়।
জানা গেছে, এলাহাবাদ
ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ফয়েজ উল্লাহ মাস্টারের বাড়ির পাশের ভাঙা
কালভার্টটি দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন যানবাহনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা
ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে যাতায়ত করেছে। এছাড়াও এলাহাবাদ ও মোহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন
গ্রাম কৃষিপ্রধান হওয়ায় কৃষকদের জন্য এ সড়কটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁরা তাদের বিভিন্ন কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হয় এ সড়ক দিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ
হওয়ায় কালভার্টের ভাঙা গর্তে বাঁশ ও গাছের ডাল ফেলে লাল কাপড় ঝুলিয়ে
দিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
মোহাম্মমদপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী
বলেন, চার রাস্তার মাথার গুরুত্বপূর্ণ এই কালভার্টি। কালভার্টের ভাঙা অংশে
পড়ে গত কয়েক দিনে বহুলোক আহত হয়েছেন। পরে আমি নিজে ভাঙা অংশে গাছ ও বাঁশ
ফেলে তার ওপর বিপদ সংকেত হিসেবে লাল কাপড় ঝুলিয়ে দিয়েছি। গভীর খাদের ওপর এই
কালভার্টি হওয়ায় দুর্ঘটনায় যেকোন প্রাণহানীও ঘটতে পারত। উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ কালভার্টের ভাঙা অংশটুকু মেরামত করায় আমরা
খুব খুশি। তবে এটি বহু পুরাতন কালভার্ট হওয়ায় এটি ভেঙে নতুন করে কালভার্ট
নির্মাণেরও দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ নেতা সয়ন দাস জানান, ভাঙা কালভার্ট
নিয়ে কুমিল্লার কাগজের একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে
বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে
তিনি আমাকে দ্রুত কালভােের্টর ভাঙা অংশ মেরামত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণের নির্দেশ দেন। আমি পরদিন রাতে নিজে উপস্থিত থেকে ভাঙা অংশ টুকু
মেরামত করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ
কুমিল্লার কাগজ ও এ প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভাঙা কালভার্ট নিয়ে
কুমিল্লার কাগজ পত্রিকায় সংবাদ দেখে দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। যেহেতু এটি
একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাই সরকারি বরাদ্দের অপেক্ষায় না থেকে নিজের
অর্থায়নেই মেরামত করেছি। সরকারি বরাদ্দ ব্যবস্থা করে নতুন করে কালভার্ট
নির্মাণ করা হবে।