
নিজস্ব
প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি
বলেছেন, টাকা দিয়ে উন্নয়ন কাজ হবে, কিন্তু মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য
সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান দরকার। কুমিল্লার উন্নয়নের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ
দেয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত বলে মনে করি। টাকা বরাদ্দ দিতে পারবো, কিন্তু
দায়িত্বটা তো উপকারভোগীদের নিতে হবে। দৈনিক কুমিল্লার কাগজের অনলাইন
প্ল্যাটফর্ম সিকে টুয়েন্টিফোর টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা
বলেন।
মন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার পোমগাঁও নিজ
বাড়িতে সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেন কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়।
সাক্ষাতকারে
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের জন্য বরাদ্দ
দিয়েছি- প্রধানমন্ত্রী তা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের জন্য উদ্যোগ
নিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন। সিলেট, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী-
সবগুলোর জন্যই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
একই ভাবে কুমিল্লার জন্য উদ্যোগ
নিয়েছি- কুমিল্লার অবকাঠামোগত, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সার্বিক সমস্যা
সমাধানের জন্য কিছু প্রকল্প প্রনয়ন করেছি এবং সেগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
সভাপতিত্বে সভায় সেগুলো অনুমোদন করেছেন। সেখানে একবার ১৫৩৮ কোটি টাকা এবং
পরবর্তীতে ৪ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। আরো একটি প্রকল্পেও
দেড় শ কোটি টাকার মত আছে। অর্থাৎ আমি মনে করি অর্থনৈতিক বরাদ্দ অনুযায়ী
কুমিল্লার সার্বিক উন্নতির জন্য এই পরিমান অর্থ যথেষ্ট।
বরাদ্দ নিয়ে
কুসিকের চাহিদা নিয়ে মন্ত্রী বলেন , আমি যখন একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম তারা
(কুমিল্লা সিটি করপোরেশন) আমার কাছে দেড় শ’ কোটি টাকার কথা বলেছিলো। আমি
জানি যে, একটি সিটি করপোরেশনের জন্য দেড় শ’ কোটি টাকা অপর্যাপ্ত। সেজন্য
আমি বলেছিলাম- কেন দেড় হাজার কোটি টাকা নয়? তখন আমি তাদেরকে বলেছিলাম দেড়
থেকে দুই হাজার কোটি টাকার প্রকটি প্রকল্প তৈরি করতে। কিন্তু পরে প্রকল্প
তৈরি করতেও আমার লোকজনকে নিযুক্ত করতে হয়েছে। হয়তো তারা ধারণা করেছিলো যে,
গত ১১ বছরে পেয়েছে দুই শ’ কোটি টাকারও কম, সেজন্য আমার কাছ থেকে বেশি টাকা
চাওয়ার সাহসও ছিলো না বলে মনে হয়।
বরাদ্দকৃত টাকার সঠিক ব্যবহার
প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু টাকা বরাদ্দ হলে তো হবে না। যেমন সিলেটে
টাকা দেয়া হয়েছে, ঢাকায় টাকা দেয়া হচ্ছে- সে টাকা গুলো কাজে লাগানো হচ্ছে।
যারা কুমিল্লাতে উন্নয়ৃন কাজে নেতৃত্ব দেন তাদের কাজ হবে বিষয়টি লক্ষ্য
রাখ যেন টাকা গুলো যেন সঠিকভাবে ব্যবহার হয়। আরেকা জিনিস হলো সিলেটেও সরু
রাস্তা ছিলো- শহরের বাসিন্দান্দের সাথে আলাপ করে তারা রাস্তাগুলোকে প্রশস্ত
করেছে। কুমিল্লাতেও সবাই মিলে একসাথে বসে আসলে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত
কুুমিল্লাকে উন্নত করার জন্য। আমি অর্থ বরাদ্দ দিতে পারবো এবং অর্থের সঠিক
ব্যবহার হয় আমার সেটি মনিটরিং করবো। কিন্তু দায়িত্বটা যারা উপকারভোগী তারাই
কিন্তু নিতে হবে।
তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে জানান, কুমিল্লা একটি ভালো
শহর হোক, শান্তির শহর হোক। সবাই মিলেমিশে থাকুক, কোন ঝগড়াঝাটি না থাকুক এই
প্রত্যাশা আমি সবসময়ই করি। টাকা দিয়ে উন্নয়ন কাজ হবে, কিন্তু মানসিকতার
পরিবর্তন করা। সৌহাদপূর্ণ অবস্থান করা, সহাবস্থান করার জন্য এই শহরে বসবাস
করা মানুষ গুলোর মধ্যে বন্ধন থাকতে হবে। সম্প্রীতি থাকবে হবে। যারা
নেতৃত্ব দেন, যারা বিশিষ্ট ব্যাক্তি তাদের মধ্যে যদি সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশ
থাকে- পরষ্পরের মধ্যে যদি ভালো সম্পর্ক থাকে তাহলে আগামী প্রজন্ম এসব থেকে
শিক্ষা গ্রহন করে।