
রহিমা মিতু ||
কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশনে উন্নয়নের নামে যেভাবে লুটপাট হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে।
দুর্নীতি না করলে কুমিল্লার উন্নয়ন বেগবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা
মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কবিরুল ইসলাম শিকদার। আসন্ন কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে দৈনিক কুমিল্লার কাগজ অনলাইন প্লাটফর্ম
সিকে টুয়েন্টিফোর ডট কম- এর টক শো ‘ভোটের মাঠে কথার লড়াই’ অনুষ্ঠানে এসব
কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের পরিকল্পনা জানিয়ে
তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে একটি স্বচ্ছ শহর
হিসেবে গড়ে তুলব। জনগনের সেবা করতে চাই ,জনসেবা নিজের মাঝে পোষণ করে বড়
হয়েছি এবং জনগণকে দেওয়ার মতো আমার মধ্যে কিছু রয়েছে। তাই তার মেয়র হওয়া
দরকার বলে মনে করেন তিনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে দায়িত্ব নিয়ে
অতীতকে ভুলে সকলকে সাথে নিয়ে কুমিল্লার উন্নয়ন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কুমিল্লার
উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে কবির শিকদার বলেন, বিগত দিনগুলোতে এমন কোনো মেয়র
কুমিল্লাতে আসেনি এবং কুমিল্লায় চোখে দেখার মতো কোনো উন্নয়ন হয়নি। যে
উন্নয়ন হয়েছে এগুলোকে কোনো উন্নয়ন বলে অবহিত করা যায় না। কুমিল্লায় যেভাবে
উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে তা অর্থমন্ত্রীকে ও অবগত করিছি।
সিএনজি,অটোরিক্সাকে যারা টোকেন দেয় তাদের উচ্ছেদ করতে হবে। ফলে যানবাহন
কমবে এবং কুমিল্লায় যানযট নিরসন করা সম্ভব।
সিটি কর্পোরেশনের সমস্যা
নিয়ে তিনি বলেন, গত ১০ বছর আগে কুমিল্লায় এত জলাবদ্ধতা হতো না। কুমিল্লা
শহরের নিউমার্কেট এবং জিলাস্কুলের সামনের মার্কেট করার ফলেই এই জলাবদ্ধতা
প্রকট আকার ধারণ করেছে। যার দায় মেয়রের বলে মনে করেন তিনি।
বহুতল ভবন
তৈরি করতে গেলে ফায়ার সার্ভিস এবং পরিবেশগত সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়ে
যেটি ঢাকা, চট্টগ্রামে ৯ তলা পর্যন্ত কোনো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে না।
সার্টিফিকেটের নামে জনগণের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আর এগুলো বন্ধ করতে হলে
একজন স্বচ্ছ মেয়র দরকার।
আপনি কেন মেয়র হতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে
কবিরুল ইসলাম শিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার
আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলেছি। ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কোনো অনৈতিক
(চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন) কাজ করিনি। রাজনীতির পাশাপাশি যে
গুণাবলিগুলো দরকার একজন মেয়র হওয়ার জন্য সে গুণাবলিগলো নিজের মধ্যে
বিদ্যমান এবং আমার মেয়র হওয়া দরকার ।
দল কেন আপনাকে মনোনয়ন দিবে বলে
আপনি মনে করেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- আমি ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়ার
পর কুমিল্লায় আওয়ামী লীগকে দাঁড় করিয়েছি। আমার নামে কোনো মামলা নেই,অভিযোগ
নেই। একজন মেয়রের নমিনেশন পাওয়ার জন্য যা যা দরকার তা নিজের মাঝে তৈরি করে
রেখেছি।
সিটি কর্পোরেশনের কেমন পরিবর্তন করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেনÑ
কমিটমেন্ট দিয়ে কিছু হয় না। সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা, যানযট নিরসন এবং
যেসকল সমস্যাগুলো বিদ্যমান সেগুলো নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
অর্থ
আত্মসাৎ না করলে একজন মেয়র হিসেবে কুমিল্লার যথেষ্ট উন্নয়ন করা সম্ভব বলে
মনে করেন তিনি। কেননা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়ে
থাকে সেখান থেকে ১০ শতাংশ মেয়র নিজে নিয়ে থাকেন। এই অর্থ যদি লুটপাট না হয়,
কোনো দুর্নীতি না হয় তাহলেই কুমিল্লাকে একটি স্বচ্ছ শহর হিসেবে গড়ে তোলা
সম্ভব।