ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার
Published : Friday, 28 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 28.01.2022 12:34:28 AM
কুমিল্লায় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেপ্তারনিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে পাঠিয়ে ভালো চাকরির লোভ দেখি মানুষের সাথে প্রতারণা ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাহ মোঃ আলী শাওন নামে সৌদিআরব প্রবাসী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ২৬ জানুয়ারি কুমিল্লা সদর উপজেলার বল্লভপুর ১নং কালীর বাজারের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ মোঃ আলী শাওন বল্লভপুর গ্রামের মোঃ আলী আজগরের ছেলে।
র‌্যাব জানিয়েছে,  শাহ মোঃ আলী শাওন বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভ্রমণ ভিসায় বিদেশে নিয়ে অন্য ব্যক্তির পাসপোর্টে ভূয়া আকামা (ওয়ার্ক পারমিট) করে দিত। এই আকামা করে দেয়ার জন্য ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপুল টাকা আদায় করে নিত। ভূয়া আকামার কারণে ভুক্তভোগীরা সৌদি আরবে পুলিশের কাছে গেপ্তার হয়ে কারাবাস করত।
গত ২২ জানুয়ারি এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে মাঠে নামে র‌্যাব। পরবর্তীতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ২৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য শাহ মোঃ আলী শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে মানব পাচার আইনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-কুমিল্লার উপ পরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার শাহ মোঃ আলী শাওন জনৈক ভূক্তভোগীকে সৌদি পাঠানোর কথাবলে তার কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং পরবীর্ততে সে ভূক্তভোগীকে একটি জাল ভিসা মাধ্যমে সৌদিআরব পাঠিয়ে দেয়। উক্ত জাল ভিসা নিয়ে ভূক্তভোগী সৌদিআরব প্রবেশ করলে সৌদিআরব পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং সৌদি আদালত তাকে ২৭ মাস জেল প্রদান করে। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী ২৭ মাস জেলে থেকে তার পরিবারের সহায়তায় আনুমানিক ৫ লাখ টাকা খরচ করে সৌদিআরব জেল হতে গত ৫ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসে।
দেশে ফিরে সে শাহ মোঃ আলী শাওন এর পরিবারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা বিষয়টিকে কোনরুপ গুরুত্ব না দিয়ে ভূক্তভোগীকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভূক্তভোগীবিভিন্ন মাধ্যমে আসামী শাওনের সাথে যোগাযোগ করলেসেও তার পরিবারের মত একইভাবে ভূক্তভোগীকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে এবং বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে বলে।
এমতাবস্থায় ভূক্তভোগী গত ২২ জানুয়ারি র‌্যাব-১১,সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পে এ বিষয়ে সবিস্তারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে অবশেষে ২৬ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
মানব পাচারকারী প্রতারকগ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।