কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় সালিশি বৈঠকে পরিমল চন্দ্র (৪০) নামে এক গ্রামপুলিশের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পরিমল উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের অনু চন্দ্র দাসের ছেলে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামপুলিশ হোমাস চন্দ্র দাসের ভাই সুভাষ চন্দ্র দাস ও পরিমল চন্দ্র দাসের ভাই গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বিরোধ মীমাংসার জন্য চন্দনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহর কাছে লিখিত অভিযোগ করে সুভাষ। এর ভিত্তিতে শনিবার সালিশ ডাকা হয়। সালিশের এক পর্যায়ে পরিমল ও হোমাস উত্তেজিত হয়ে যান। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাদের ধমকি দিয়ে বসতে বলেন। তখন দাঁড়িয়ে থাকা পরিমল হঠাৎ পড়ে যান। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বলেন, ‘সালিশ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে ইউনিয়ন অফিসে ডেকে আনি। এক পর্যায়ে তারা দুজনই উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে আমি দুই পক্ষকেই ধমক দেই। এর মধ্যে পরিমল হঠাৎ পড়ে যায়। সবাই তাকে ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।’
মৃত পরিমলের ভাগিনা অজিত দাশ বলেন, ‘আমার মামা সহজ-সরল মানুষ। উনি চেয়ারম্যানের ধমক সহ্য করতে পারেননি। তাই মারা গেছেন।’
এ বিষয়ে মেঘনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি।