Published : Wednesday, 8 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 08.12.2021 1:06:07 AM

নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র এবং ১৭ নং ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলসহ দুইজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায়
নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে
পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পুলিশ
সুপার কার্যালয়ে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে
নগরীর নবগ্রাম এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে পুলিশ সুপার
কার্যালয়ে নিয়ে যান।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ জানান,
কাউন্সিলর সোহেল হত্যার তদন্তের স্বার্থে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন
বাবুলকে নিয়ে আসা হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য
উপাত্ত যাচাই করার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত
জানানো হবে।
তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আছে কী-না জানাতে চাইলে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে পরে আপনাদের জানানো হবে।
কাউন্সিলর
জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলের ছোট ভাই জুয়েল জানান, সকাল ৯টায় ডিবি পুলিশের
কয়েকজন এসে আমার ভাইকে নিয়ে যান। তবে কী কারণে তাকে নিয়ে গেছে তা আমাদের
জানানো হয়নি। তাকে নিয়ে আসার পর থেকেই এলাকাবাসীসহ কাউন্সিলরের স্বজনরা
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বিকেলে কাউন্সিলর বাবুল এসপি
অফিস ত্যাগ করা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন।
এদিকে মঙ্গলবার
বিকালে কাউন্সিলর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি জেল সোহেল ও অপর আসামি
সায়মনকে কুমিল্লা জেলা চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারিক চন্দন কান্তি নাথের
আদালতের তোলা হলে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া
সোমবার একই আদালতে অপর আসামি আশিকুর রহমান রকি, মো. আলম, মো. জিসান ও মো.
মাসুমকে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২২ নভেম্বর (সোমবার)
বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন
কাউন্সিলর সোহেল। এসময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি
ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার
করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।
ঘটনার পরদিন রাত সোয়া ১২টার
দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা
করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং
অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় এখন পর্যন্ত
এজাহারভুক্ত পাঁচজন ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে
পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন প্রধান আসামি শাহ আলম, সাব্বির
হোসেন ও মো. সাজন।