
নিজস্ব
প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে রবিউল আউয়াল মাসের
চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) থেকে রবিউল আউয়াল মাস
গণনা শুরু হবে। আগামী ২০ অক্টোবর (১২ রবিউল আউয়াল) বুধবার পালিত হবে পবিত্র
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা
প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়,
আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরির
রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সফর মাসের
৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু
হবে। আগামী ২০ অক্টোবর (১২ রবিউল আউয়াল) দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
পালিত হবে।
আরবি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’র শাব্দিক অর্থ- মহানবির (সা.)
জন্মদিনের আনন্দোৎসব। মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবি হজরত মুহম্মদ (সা.)
এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। কারণ এ দিনেই রাসুলে করীম
(সা.) ইন্তেকালও করেন। সেই হিসাবে আগামী ৩০ অক্টোবর হবে ১২ রবিউল আউয়াল।
বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) দিন সাধারণ ছুটি।
মহানবি হজরত মুহম্মদ
(সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কার কুরাইশ
বংশে জন্মগ্রহণ করেন। আরবের মরু প্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার
শুরু করেন তিনি। তার আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন
সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ১২
রবিউল আউয়ালই মহানবি (সা.) মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
হিসেবে পৃথিবীর মুসলমানরা পালন করে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) দিনে মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায়
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার
(দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুশফিকুর
রহমান, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা
মো. শাহেনূর মিয়া, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের
পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহ. আছাদুর
রহমান, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রধান মাওলানা অধ্যক্ষ মো. এ কে এম আবদুল
মান্নান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা,
চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম
জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় আমন্ত্রিত
অতিথি হিসেবে শোলাকিয়া মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ
উপস্থিত ছিলেন।