
দেশে
দিনে শনাক্ত করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা ছয়শর নিচে নেমেছে, যা গত সাড়ে ৪
মাসে সর্বনিম্ন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা
কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে ৫৮৯ জন
রোগী শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৭।
দিনে এর চেয়ে কম রোগী সর্বশেষ শনাক্ত হয়েছিল গত ১৬ মে, সেদিন ৩৬৩ রোগী
শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ২৪
জন। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৫৫৫। এই সময়ে সেরে উঠেছে
৭৪১ জন, তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠল ১৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ জন। এই
হিসাবে দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মাত্র ১২ হাজার ১৫০। অর্থাৎ দেশে
এখন এই সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।
গত এক দিনে
নমুনা পরীক্ষা হয়েছি ১৭ হাজার ২৮৩টি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩
দশমিক ৪১ শতাংশ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে বিপর্যস্ত জুলাই-অগাস্ট
পেরিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণের গতি কমে আসে।
সাড়ে ৫ মাস পর গত ২১
সেপ্টেম্বর দৈনিক সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। তারপর থেতে তা
স্থিতিশীলই রয়েছে। টানা দুই সপ্তাহ দৈনিক সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে
থাকলে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে ধরে নেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। আর প্রথম
মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ। গত বছরের শেষ দিকটা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ডেল্টা সংক্রমণের বিস্তারে এ বছরের এপ্রিল
থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে।
এর মধ্যে জুলাই, অগাস্ট ভয়াবহ অবস্থা
পার করে বাংলাদেশ। ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট দুদিনই ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর
মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দেশে এই পরীক্ষা হয়েছে ৯৭ লাখ ৭৩
হাজার ২৪৪টি নমুনা। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ১৫
দশমিক ৯৩। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন
তাদের মধ্যে মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন বাদে চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ জন, খুলনা
বিভাগের ১ জন, বরিশাল বিভাগের ১ জন, সিলেট বিভাগের ১ জন, রংপুর বিভাগের ২
জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের
মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১
জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে
ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন পুরুষ, নয়জন ছিলেন নারী।
তাদের মধ্যে ২১ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।