ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
খরা কাটিয়ে দর্শনার্থীদের মুখর পদচারণা
কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্ব স্থান ও বিনোদন কেন্দ্র
Published : Saturday, 2 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 02.10.2021 1:30:18 AM
খরা কাটিয়ে দর্শনার্থীদের মুখর পদচারণামাসুদ আলম।।
করোনার খরা কাটিয়ে কুমিল্লা প্রত্নতত্ত্ব স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ প্রায় ১৯ মাস করোনার প্রভাবে বন্ধ থাকায় জেলার প্রত্নতত্ত্ব সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক শালবর বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরসহ দর্শনীয় স্থানগুলো অনেকটা নির্জন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি এই দর্শনীয় স্থানগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দর্শনার্থীদের ভিড় দিন দিন বেড়েই চলছে। এতে মুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লা কোটবাড়িসহ শহর তলীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো। দেশের নানা স্থান থেকে প্রতিদিন আসছে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষসহ দর্শনার্থীরা। এতে বন্ধের দিন শুক্রবারে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্ব এলাকা এবং নগরী ও শহরতলীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্ব ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরণের যানবাহনে পরিবার পরিজন নিয়ে শালবন বিহারের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা এবং বিনোদনের জন্য ছুটে আসেন। প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় থাকলে শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। ঠিক একই অবস্থা ময়নামিত জাদুঘরেও। এছাড়াও কুমিল্লার নগরী ও শহরতলীতে গড়ে উঠা সরকারি ও বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও করোনার খরা কেটে ক্রমন্বয়ে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। নগরীতে বসবাসরত সচেতন পরিবারগুলো শিশুদের মানুষিক বিকাশের বৃদ্ধিতে প্রতিদিন না হলেও অন্তত ছুটি দিনে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে বের হচ্ছেন। শিশুরা বিনোদন কেন্দ্রেগুলো গিয়ে প্রছন্দের রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।  
শুক্রবার দুপুরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদপুর কচুয়া থেকে কুমিল্লার শালবন বিহারে ঘুরতে আসেন  মোজাম্মেল হোসেন নামে এক দর্শনার্থী। তিনি বলেন, শালবন বিহার কুমিল্লার প্রচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। শালবন ছাড়াও এই ধরনের আরও একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজন এবং স্ত্রী ও সন্তাদের নিয়ে কুমিল্লা এসে ঘুরার পরিকল্পনা ছিলো। আজ শুক্রবার সময় পেয়ে সকালেই রওনা দিয়ে প্রথমেই শালবন বিহারে চলে এসেছি। আগের চেয়ে শালবন বিহারের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর করেছে। এর সৌন্দয্যে স্ত্রী ও সন্তান সবাই মুগ্ধ।
কুমিল্লার শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে আসা দর্শনার্থী স্কুল শিক্ষিকা রিনা আক্তার বলেন, প্রত্নতত্ত্ব স্থানে সমৃদ্ধ কুমিল্লা একটি ইতিহাস, ঐতিহ্যের জেলা। তারমধ্যে শালবন বিহার অন্যতম। সঙ্গে ময়নামতি জাদুঘরও রয়েছে। সন্তানকে নিয়ে এখানে মূলত ঘুরতে এসেছি এই প্রত্নতত্ত্ব স্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে এবং উপভোগ করতে।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাসিবুল হাসান সুমি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘরসহ প্রত্নতত্ত্ব স্থানগুলো বন্ধ ছিলো। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৯ আগষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূণরায় খুলে দেওয়া হয়। শুরুতেই দর্শনার্থীদের পথচারণা কম থাকলেও ক্রমন্বয়ে তাহা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আবারও শালবন বিহার, জাদুঘরসহ কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্ব স্থানগুলো দর্শনার্থীদের পথচারণায় মুখর হয়ে উঠবে।