ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেশে মৎস উৎপাদনে দ্বিতীয় কুমিল্লা জেলা
Published : Sunday, 29 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 29.08.2021 1:01:57 AM
দেশে মৎস উৎপাদনে দ্বিতীয় কুমিল্লা জেলাতানভীর দিপু:

দেশে মৎস উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কুমিল্লা। প্রতি বছরই কুমিল্লায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লায় মাছের উদ্বৃত্ত বছরে প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে জেলায় মাছের উৎপাদন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ মেট্রিক টন। যেখানে জেলার চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ মেট্রিক টন। মৎস্য সপ্তাহ- ২০২১ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় জেলা মৎস বিভাগ।


কুমিল্লা জেলায় উৎপাদিত উদ্বৃত্ত মাছ চলে যায় ভারতে ও পার্শ্ববর্তী জেলায়। জেলায় মাছ সংরক্ষণের সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় ও নগদ ভালো দামের আশায় এসব মাছ চলে যাচ্ছে সীমানা পেরিয়ে। তবে মাছ সংরক্ষণাগারের কোন সরকারি উদ্যোগ আছে কি না তা জানাতে পারে নি কুমিল্লায় নিয়োজিত মৎস কর্মকর্তারা। অথচ প্রতি বছরই কুমিল্লায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লায় মাছের উদ্বৃত্ত বছরে প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে জেলায় মাছের উৎপাদন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ মেট্রিক টন। যেখানে জেলার চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ মেট্রিক টন। দেশে মৎস উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কুমিল্লা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লায় উৎপাদিত উদ্বৃত্ত মাছ পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনী ও ঢাকায় চলে যায়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর হয়েও মাছ যায় ভারতে। যে কারণে উদ্বৃত্ত থাকলেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কিন্তু কুমিল্লায় সরকারিভাবে মাছ সংরক্ষণের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
 মৎস সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল জেলা মৎস অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মো: আব্দুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রকল্প পরিচালক ইউনিয়ন পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবু সাইদসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-প্রকল্প পরিচালক ইউনিয়ন পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন জানান, জলাশয় না থাকলে প্রাকৃতিক ভাবে দেশীয় মাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কমে যাচ্ছে। যে কারনেই কালচার করে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ এবং উৎপাদন বাড়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছে মৎস বিভাগ।
জেলা মৎস কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন জানান, করোনা অতিমারির সময় মৎসজীবীদের জীবনমান উন্নয়ণে কাজ করছে মৎস বিভাগ। ২০ হাজারের বেশি মৎসজীবীদের এই সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এপর্যন্ত সাড়ে ১৬ হাজার মৎসজীবীকে এআইজি উপকরণ ও ৯ হাজার জনকে বেড় জাল প্রদান করা হয়েছে।
খন মৎস্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মো: আব্দুস ছাত্তার তার বক্তব্যে বলেন, মৎস উৎপাদনে সরকার প্রান্তি চাষীদের নানান সহযোগিতা করে আসছে। প্রাকৃতিক জলাধারগুলোতে মাছের পরিমান কমে আসলেও চাষাবাদের মাধ্যমে যে উৎপাদন বেড়েছে তা আমাদের উদ্বৃত্ত হিসেবে থাকছে।