পিটিয়ে নয়, ‘স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে শামীমের
শাহীন আলম,দেবিদ্বার
|
পিটিয়ে হত্যা নয়, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ব্যবসায়ী শামীম আহম্মদ। এর আগেও তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন, বিদেশে থাকাবস্থায় একবার স্ট্রোক করায় মালিক পক্ষ তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। একটি চক্র শামীমকে পিটিয়ে হত্যার পরিকল্পিত নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী শামীম হত্যার মামলার আসামী মো. আবদুল আলিম খন্দকারের পিতা মো. আবু মুছা খন্দকার। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের উজানীজোড়া গ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচী ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে এমন দাবি করেছেন তিনি। মানববন্ধন কর্মসূচীতে উজানীজোড়া গ্রামসহ আশ পাশের কয়েক’শ নারী পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, গত শুক্রবার (১২এপ্রিল) রাতে পারিবারিক একটি সালিশ মিমাংসা বৈঠকে শামীম আহম্মদ উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন অশ্লিল বক্তব্য রাখছিলেন, তার এমন বক্তব্য থামানোর চেষ্টা করেন আলিম খন্দকার। তাকে থামানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে আলিম খন্দকার তাঁর বসার চেয়ার হাতে নিয়ে মারার চেষ্টা করলে গ্রাম পুলিশ তাতে বাঁধা দিয়ে হাত থেকে চেয়ার নিয়ে যান। এর অনেকক্ষণ পর শামীম অসুস্থ হলে তাকে সবাই দেবিদ্বার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। পরদিন ভোরে বুকে ব্যাথা হলে তাকে কুমিল্লার একপি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে দুপুরে তার মৃত্যু হয়। একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র আলিম খন্দকারসহ নিরাপরাধ কয়েকজন ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এখানে একটি রাজনৈতিক চক্র শক্তি যোগাচ্ছে। আইন ও ন্যায় বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন খন্দকার, মো.আব্দুল আজিজ খন্দকার, মো. আবুল কাশেম খন্দকার, ইব্রাহীম খন্দকার, মো. শহীদ খন্দকার, আব্দুল মতিন খন্দকার ও সাবেক মেম্বার মো. আব্দুল রাজ্জাক এবং হোসনে আরা বেগম। |