নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছরিন জাহান তার জামিন না মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শেষে দ্বীন ইসলামকে কারাগারে প্রেরণের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তার জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে মামলার অপর আসামি অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর জামিন আবেদনও পরপর দুইবার নামঞ্জুর করা হয়। এ দুজন বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নুরুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আসামি দ্বীন ইসলামের আইনজীবী বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তার জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। এর আগে ২০ মার্চ জামিন আবেদন করে তার আইনজীবী। তখনও তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করা হয়৷ এই মামলার দুই আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
দ্বীন ইসলামের আইনজীবী স্বর্ণকমল নন্দী পলাশ জানান, আজকের না মঞ্জুরের আদেশের কপি নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো, জামিন আবেদন করবো। আশা করি সেখানে দ্বীন ইসলামকে জামিন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য , গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরের বাগিচাগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে তিনি নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে মৃত্যুর জন্য জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি এ মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে ১৭ মার্চ কুমিল্লা পুলিশে হস্তান্তর করে। পরদিন এ মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিন ও সহপাঠী আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে উভয় আসামি কুমিল্লা কারাগারে আছেন।
কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।