ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় কুমিল্লার কৃষক
প্লাবনের পলিমাটি হতে পারে আশীর্বাদ
তানভীর দিপু:
|
কুমিল্লার
বন্যায় সাড়ে ৮শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষিখাতে। প্রায় ৬৪ হাজার
হেক্টর জমি বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এখনো পানির নিচে ডুবে আছে কুমিল্লার
বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ন জমি। তবে
বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষকরা। আমন
ধানের মৌসুম কাজে লাগাতে সঙ্কটের মাঝেও বীজতলা তৈরী আর বেশি দামেই চারা
সংগ্রহ করে নেমে পড়েছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, নদী ভাঙ্গনে আসা পলিমাটি
আশীর্বাদ হতে পারে কৃষকদের জন্য। সরকারি ভাবে বীনামূল্যে পর্যাপ্ত সার ও
বীজ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। বন্যার কারণে বীজতলা
বিনষ্ট, চারার সঙ্কট এবং বেশি দামে চারা সংগ্রহ করতে হলেও মৌসুম ধরতে মাঠে
নেমেছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রত্যাশা, সঠিক ভাবে সরকারি সহযোগিতা
পেলে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার
বুড়বুড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুস সালাম জানান, ২৩ আগষ্ট ধান কাটার কথা ছিলো।
আগেরদিন রাতেই সব শেষ। পুকুরের মাছও শেষ , জমির ধানও নাই।চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমার জমিতে পানি জমে সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমে আসায় আবার নতুন করে চারা রোপনের জন্য তৈরী হচ্ছি। জমির পাশেই চারা এনে মজুদ রেখেছি। যদিও দ্বিগুণ দামে অনেক দূর থেকে চারা আনতে হয়েছে তাও মৌসুমটা ধরার চেষ্টা করছি। এদিকে বন্যার দুর্দশার মধ্যেও প্লাবনের পলিমাটি আশীর্বাদ হতে পারে কৃষকের, এমনটা জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। তবে সে ক্ষেত্রে মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্র সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আইয়ুব মাহমুদ। তিনি জানান, কুমিল্লা সেনানিবাসে বীজতলা তৈরী করে আমনের চারা তৈরী করা হচ্ছে। ১০দিন পরেই এসব চারা আমরা দ্রুত কৃষককে সররাহ করতে পারবো। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য বীনামূল্যে সারও দেয়া হবে। জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় কুমিল্লার প্রধান জানান, কৃষিখাতে মোট ক্ষতি ও পুনর্বাসনেও সচেষ্ট রয়েছে সরকার। কৃষি বিভাগ তাদের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি কৃষকরা খুব দ্রুত মাঠে ফিরতে পারবেন। |