কুমিল্লায় লাইসেন্সধারীরা জমা দেননি ৫০টি অস্ত্র
সাবেক এমপি বাহার, ডা. নোমান, রনির অস্ত্র হারানো বিষয়ে জিডি
|
স্টাফ
রিপোর্টার।। কুমিল্লায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ
হলেও অন্তত ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে কয়েকজন অস্ত্র
হারিয়েছে বা লুট হয়েছে বলে থানায় জিডি করেছেন। কুমিল্লায় যারা অস্ত্র জমা
দেননি তাদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম
বাহাউদ্দিন বাহার, মেঘনার সাবেক সংসদ সদস্য বেগম সেলিমা ইসলাম,
চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, দাউদকান্দির সাবেক মেয়র নাসিম
ইউসুফ, নাঙ্গলকোটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, প্রয়াত
আওয়ামীলীগ নেতার পুত্র ডা. আজম খান নোমান প্রমুখ। এর মধ্যে সাবেক সংসদ
সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও ডা. আজম খান নোমানের অস্ত্র হারিয়েছে বলে
জিডি করা হয়েছে। এ ছাড়া তালপুকুর পাড়ের সাইফুল ইসলাম রনির অস্ত্রও হারিয়েছে
বলে জিডি করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪
সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২০৭টি সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময় গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৯২টি অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা থাকলেও
কুমিল্লার ১৮টি থানায় ১৪২টি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। জমাদান যোগ্য অস্ত্র
অবশিষ্ট রয়েছে ৫০টি। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়েছিল যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দেবেন তারা অবৈধ
অস্ত্রধারী হিসেবে মামলার অস্ত্র মামলার আসামী হবেন।কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলায় ৩ হাজার ১৬২টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে বাতিলযোগ্য ২ হাজার ১৫৭টি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় ৪শ’ ৯৩টি। এর মধ্যে ২০৭ টি সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র। বাকিগুলো অসামরিক কর্মকর্তা ও সামরিক কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়। এছাড়া ৭৫টি ব্যাংকের আগ্নেয়াস্ত্রও আছে। সূত্র জানায়, কুমিল্লায় জমাদান যোগ্য ১৯২টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জেলার ১৮টি থানায় ১৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫০টি অস্ত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি। জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদন মতে, জমা না দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান পুত্র ডা. আজম খান নোমের ২টি অস্ত্র কুমিল্লা থেকে লুট হয়েছে উল্লেখ করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অস্ত্র কোতয়ালী থানা কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক হারানো গিয়েছে। কুমিল্লার তালপুকুরপাড়ের সৈয়দ আবদুল হালিমের ছেলে সাইফুল আলম রনির অস্ত্র হারানো গিয়েছে। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর খাজু মিয়া জানান, সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের পক্ষে একজন, ডা. আজম খান নোমান ও সাইফুল ইসলাম রনি কোতয়ালী মডেল থানায় অস্ত্র হারানো ও লুট হওয়ার বিষয়ে জিডি করেছেন। |