নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার গোমতী নদীতে ভাঙ্গন পর্যবেক্ষণ করছে পানি উন্নয়ন
বোর্ড ও সেনাবাহিনী। নদীর স্রোত ও পানির উচ্চতা অনূকুলে এলেই বাঁধ মেরামত
শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর
রহমান।
অপরদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আবেদ আলী জানান, এ
বিষয়ে একটি সভায় গোমতীর ভাঙ্গনকবলিত বাঁধ মেরামতে সেনাবাহিনী ও পানি
উন্নয়ন বোর্ড সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ২২ আগষ্ট
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা দিয়ে গোমতী
নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বুড়িচং এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাসহ উত্তরের গ্রামগুলোতে
পানি প্রবেশ শুরু হয়৷ এতে স্মরনকালে সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যার মুখোমুখি হয় এই
জনপদ। বাঁধের মুখের বাড়িঘর স্থাপনা ভাসিয়ে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ কৃষিজমি-
পুকুর- দিঘী- ঘের ও গবাদি পশুর খামার। গোমতীর ভাঙ্গনেই বন্যাকবলিত হয়েছে
অন্তত ৫ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
গত দুইদিন থেকে গোমতির
পানি কমতে থাকায়, গোমতির ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে যে পানি লোকালের প্রবেশ করছে
বাঁধ মেরামত করে তা ঠেকাতে হবে। না হলে বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের
দুর্ভোগ আরো বাড়বে এবং এই এলাকার বন্যাও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়বে।
এ
প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জানান, যখনই কাজের
পরিবেশ ফিরে আসবে তখন এই কাজ শুরু হবে। তা না হলে নদী থেকে আরো পানি
লোকালয়ের প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ প্লাবন হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় এটি
সমন্বয় করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ
ওয়ালীউজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গনটি পর্যবেক্ষণে
রেখেছে। মেরামতের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলেই সাথে সাথে কাজ শুরু করা হবে।