গোমতী
নদীর ভাঙ্গনে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্ধি
অবস্থায় আটকা পরে আছে। পর্যাপ্ত লোকবল ও নৌকার অভাবে তাদেরকে উদ্ধার করে
নিরাপদ আশ্রয়ে আনা যাচ্ছে না। গত ২২ আগষ্ট রাত সারে ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার
বুরবুরিয়া গ্রামে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ও অধিক বৃষ্টির কারণে এ অবস্থার
সৃষ্টি হয়।
নদী ভাঙ্গনে মূহর্তের মধ্যে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে অধিকাং
বাড?িঘর রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে অনেক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরে।
রাতে বাঁধ ভাঙ্গার কারণে মানুষ আশ্রয়নে যেতে পারেননি। অনেক মানুষ পরিবার
পরিজন নিয়ে ঘরের চালায় ও ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। সাধারণ কিছু লোকজন
আত্মীয়-স্বজন, স্কুল কলেজের আশ্রয়নে আশ্রয় নিলেও অধিকাং মানুষ নিজ বাড়িতে
থেকে যায়। তাদের আতঙ্কে কাটছে রাত।
এছাড়া কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের ভরাসার
বাজার থেকে বুড়িচং বাজার পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গিয়ে যানবান
চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। বুড়িচং উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম এবং
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৭৬ টি গ্রাম গোমতী নদীর ভাঙ্গনের সাথে সাথে রাস্তাঘাট
ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এতে পুকুরের মাছ ও খামারিদের মুরগি পানিতে ভেসে যায়।
অপর
দিকে কুমিল্লার এ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সীমান্তের মাঝখানে দিয়ে প্রবাহিত
সালদানদী নদীটি ২৩ আগষ্ট সকালে বাগড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে নদীর বাধ
ভেঙে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া, মানরা, নাগাইশ, বড়ধুশিয়া, চান্দলা,নাইঘর
সহ উপজেলার সর্বত্র পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে ফলে এইসব এলাকার হাজার হাজার
লোকজন পানি বন্ধী হয়ে পরেছে। এতে মানুষের মাধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
উপজেলা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা করার
কথা বলা হয়েছে।ঝুকির মধ্যে থাকা সকল জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে
(সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে) নিরাপদ আশ্রয়
গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি সেচ্ছা সেবী সংঘঠন বন্যা
কবলিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।