কুমিল্লায়
সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন
বাহারসহ ১৮৩ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লার আদালতে ও
কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক ওই দুটি মামলা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা
গেছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী
তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৯০ জনের বিরুদ্ধে
চাঁদা দাবি, হামলা, ভাঙচুর, হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার কুমিল্লার ৬
নং আমলী আদালতে মামলার আবেদন করেন জেলার লাকসাম উপজেলার নশরতপুর গ্রামের
মৃত হোসেন আলীর ছেলে মনির হোসেন। তিনি লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও
দৈনিক দিনকাল পত্রিকার লাকসাম প্রতিনিধি।
ওই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত-পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য
লাকসাম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক
রিংকু সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় সাবেক
মন্ত্রী তাজুল ছাড়াও লাকসামের পৌর মেয়র আবুল খায়ের, লাকসাম উপজেলা ভাইস
চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম,
সাবেক মন্ত্রী তাজুলের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেনসহ কয়েকজন ইউপি
চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
সাবেক এমপি বাহারসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা:
অন্যদিকে
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ৩ আগস্ট বিকালে কুমিল্লা নগরীর
বাগিচাগাঁও এলাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে সশস্ত্র হামলা ও গুলির অভিযোগে সদর
আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ১৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে
অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে
কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
সমন্বয়ক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের নবম ব্যাচের ছাত্র
আবু রায়হান। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শ্রীপদ্দী গ্রামের আবদুস
সাত্তারের ছেলে।
এ মামলায় সাবেক এমপি বাহার ছাড়াও তার মেয়ে কুমিল্লা
সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা, আদর্শ সদর উপজেলা
পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর আওয়ামী লীগের
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক
চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলুসহ সিটির বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান
এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল
থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাারা সকলেই
আত্মগোপনে আছেন, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।