গত
কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশনের দক্ষিণ অংশের নয়টি ওয়ার্ড ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার
সাতটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। উপজেলায় বন্যাত্যদের জন্য
অস্থায়ীভাবে ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আজ রবিবার (২৫ আগস্ট)
পর্যন্ত ২ হাজার ৫শ’ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোক আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়,
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ অংশের ৯টি ওয়ার্ড ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ
উপজেলার বিজয়পুর, বারপাড়া, গলিয়ারা উত্তর, গলিয়ারা দক্ষিণ, জোড়কানন পূর্ব ও
জোড়কানন পশ্চিম ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থানে বন্যার পানি উঠে পড়ায় অনেকে ঘর
ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় সেখানকার ফসলের মাঠ, মাছের
ফিসারী, পোল্ট্রি ফার্ম, বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার সামনে হাঁটু সমান পানি উঠে
পড়েছে। উপজেলা ও নগরীর দক্ষিণ অংশের অধিকাংশ সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। যার
ফলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা ১০ টন চাল
বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে তা নিরুপন করতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বন্যার পানি উঠে পড়ায়
কুমিল্লা ইপিজেড দুইদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন কুমিল্লা ইপিজেড এর
নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা
নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে জানান, এখন পর্যন্ত
বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩শ’ পরিবারের আড়াই হাজার সদস্য
আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন তাঁদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও তাঁদের মধ্যে খাবার বিতরণ
করেছেন। তিনি আরো জানান, গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের পানি কিছুটা কমতে শুরু
করেছে। বন্যাত্যদের সহায়তায় আরো এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও এখনো সেই টাকা
তিনি হাতে পাননি।