শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩০ ভাদ্র ১৪৩১
কুমিল্লায় গোমতীর ভাঙন ৩০০ ফুট ছাড়িয়েছে, প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ১২:১৪ পিএম |

কুমিল্লায় গোমতীর ভাঙন ৩০০ ফুট ছাড়িয়েছে, প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২ টায় বাঁধ ভাঙ্গার এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বুরবুড়িয়া এলাকায় ভাঙ্গন প্রায় ৩০০ ফুট ছাড়িয়েছে।  অস্বাভাবিক স্রোত এবং পানির উচ্চতায় প্লাবনের কারণে প্রতিনিয়ত তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্গত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।  বেরিবাদের আশেপাশের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে উঁচু রাস্তার উপরে। অনেকেই এখনো আটকা পড়ে আছে প্লাবিত এলাকায়। 

স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছে ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলোর  প্রায় ৩০% লোক আটকা পড়ে আছে 



পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশরী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান জানান, বৃহস্পতিবার   সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি  ঢুকতে থাকে। 


বাঁধ ভেঙ্গে সাথে সাথে  বুড়বুড়িয়া, খাড়াতাইয়া, নানুয়ারবাজার, কিং বাজেহুরা, মিথিলাপুর, শিকারপুর, মহিষমারা, ইছাপুরা, পয়াত, গাজীপুর, কন্ঠনগর, মাওরা, গোপীনাথপুর,জগৎপুর ও গোসাইপুর গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। এসব এলাকার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 


নদীর বাঁধে আশেপাশের শতাধিক পরিবার ঘর থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। 


শুক্রবার সকাল ৮ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়বুড়িয়া গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা শোকে কাতর৷ বাড়িঘর হারিয়ে বাকরুদ্ধ। 


বুড়বুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সংবাদকর্মী  গোলাম কিবরিয়া জানান, তাঁর বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 


বুড়বুড়িয়া গ্রামের অন্তত কুড়িজন বাসিন্দা জানান, রাত সাড়ে ১১ টায় নদীর পানি হঠাৎ ঘূর্ণন শুরু হয়। তারপর বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। প্রথমে বাঁধটি ১০ ফুটের মত ভাঙ্গে। তারপর ২০ ফুট করে বড় আকারে ভেঙে পরে। 



নানুয়ার বাজার গ্রামের গৃহবধূ আইরিন আক্তার কান্না করতে করতে বলেন, তাঁর ১২ বছরের সংসারটা সাজানো গোছানো ছিলো। পানি সব নিয়ে গেলো। 


সোমা রানী বলেন, কোলের বাচ্চাটা নিয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে ছিলেন।  বাড়িঘর সব ডুবে গেলো পানিতে । এখন কই থাকবেন সেই ভাবনার কথা মনে করে আঁচলে চোখ মুছেন। 


গোমতীর বাঁধের ভান্তি,কামারখাড়া, বালিখাড়া অংশে পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে৷ শিশুরা আতংকিত অবস্থায়  আছে। বন্যা আক্রান্ত পরিবারগুলোর মাঝে দ্রুত খাবার পানি শুকনো খাবার প্রয়োজন। 


শিকারপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়তে বাড়তে পুরো ঘরে পানি। সবাই কোন রকম বের হয় হয়েছেন। 


 বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার জানান, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ষোলনল, পীরযাত্রা পুর, সদর, ইউনিয়নসহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার শংকায় সন্ধ্যা থেকেই লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। 


পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, ‘১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে  বৃহস্পতিবার বিকালে ১১৩ বিপদসীমার সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।












সর্বশেষ সংবাদ
দুবাইয়ের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন শাহীন
চান্দিনায় হামলার শিকার আহত যুবকের মৃত্যু
মহাসড়কের তীব্র যানজট; দুর্ভোগ
তদন্তে সম্পৃক্ততা না মিললে মামলা থেকে নাম বাদ পুলিশের নির্দেশনা
মনোহরগঞ্জে র‌্যাবের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন প্রফেসর মো: আবুল বাশার ভূঁঞা
কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এমএ জাহেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ
কুমিল্লায়-বেড়েছে চুরি ছিনতাই
কুমিল্লার ১২ শ কিলোমিটার সড়কে বন্যার ক্ষত
কুমিল্লায় ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারী একজন গ্রেপ্তার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২