কোটা
সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গন্তব্যে যাওয়ার পথে আশরাফুল ইসলাম নাইম (১৮)
নামের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি কুমিল্লা পলিটেকনিক
ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের
শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেশপুর গ্রামে। তাঁর বাঁ
পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লেগেছে। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার
দিকে কোটবাড়ী জাদুঘর সড়কের মাথায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
সোমবার রাত
১১টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দোতলায় ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে
গিয়ে দেখা যায়, একটি শয্যায় শুয়ে আছেন আশরাফুল। তার সাথে কথা বলতে চাইলেও
রাজি হননি তিনি। পরে তার নিকট আত্মীয়রা এই প্রতিবেদককে জানান, পলিটেকনিকের
পাশেই তার বাসা। সে টিউশনি থেকে বাসায় যাওয়ার সময় পলিটেকনিকের পাশে আন্দোলন
চলছিল। আন্দোলনের পাশ দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ সিএনজি থেকে
কয়েকজন এসে এলোপাতারি গুলি করলে তার পায়ে গুলি লাগে।
তবে এর আগে একটি
গণমাধ্যমকে আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলনে
যোগ দিতে তিনি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে
যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে
দৌড় দেন। কিছুদূর গিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যান। গুলির শব্দে প্রথমে তিনি কিছুই
বুঝতে পারেননি। পরে বাঁ পা অবশ হয়ে গেলে তিনি সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে জ্ঞান
হারান। ওই সময় কারা যেন তাঁর মুঠোফোন নিয়ে যায়। পরে একটু জ্ঞান ফিরলে তিনি
এক পায়ে ভর দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তারপর তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা: আবু জাফর রনি কুমিল্লার
কাগজকে জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় আশরাফুল ইসলাম নাইম গুলিবিদ্ধ
হয়। তার হাটুর নিচে গুলি লাগে এবং সেখানে একটি গুলি আছে। দুইটি হাড়ের মাথা
ভাঙ্গা। এখন আমাদের হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি আছে। আমরা চিকিৎসা
দিচ্ছি।