দেবিদ্বার
প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বারে আলোচিত মেহেদি হাসান শান্ত হত্যাকারী
পলাতক আসামী আজমল ফুয়াদ সাজিদকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই
আদালত অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা সহ ১০জনকে শান্ত হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি
দিয়েছেন। সম্প্রতি কুমিল্লা ৪নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন এ আদেশ দেন। ওই প্রতিবেদন গুলো থেকে জানা গেছে,
২০২২ সালের ৯ জুলাই নুরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই
পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের মারামারি থামাতে এলে
সাজিদ পকেটে থাকা সুইস গিয়ার বের করে মেহেদী হাসান শান্ত’র পেটে আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই শান্ত মারা যায়। শান্ত’র মৃত্যুর পর সাজিদ তার নিজের বাইকে
করেন পালিয়ে যায়। এ ঘটনার ধামাচাপা দিতে ছাত্রলীগ নেতা আবু কাউছার অনিকসহ
১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন শান্ত’র বাবা জাকির হোসেন। ওই মামলায়
হত্যাকারী সাজিদকে স্বাক্ষি করা হয়। এছাড়াও মূলহত্যাকারী হিসেবে আসামী
সাজিদকে দায়ী করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআই ও সিআইডি।
অব্যহতি
পাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু কাউছার অনিক জানান, ছাত্রলীগের রাজনীতি করে
মানুষের সেবা করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবা ও মৃত
মানুষের দাফন করেছি। আমাকে একটি চক্র শান্ত হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা
করেছে। মূলহত্যাকারী সাজিদ শান্তকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়।
পিবিআই ও সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে সব সত্যতা বের হয়েছে। এ মামলায় আমিসহ
১০জনকে অব্যহতি দিয়েছে মহামান্য আদালত। আইনজীবী সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল
বলেন, 'প্রকৃত আসামীকে আড়াল করে হত্যাকারীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়। আদালত
পিবিআই ও সিআইডি'র দীর্ঘ তদন্ত পর্যবেক্ষণ করে অনিকসহ দশজনকে শান্ত হত্যা
মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছে। একই সাথে সাজিদকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত,
২০২২ সালে ৯ জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেবিদ্বার উপজেলার
ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুরে আমেরিকা প্রবাসী সাজিদের চাকুর আঘাতে শান্ত মারা
যায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরও চারজন। নিহত মেহেদী হাসান শান্ত
ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সরকার বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত সাজিদ যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।