কুমিল্লায়
অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন
এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের তিন
স্ত্রীকে কারাদ- ও অর্থদ- প্রদান করেছেন আদালত। ৭ জুলাই রবিবার বিকেলে
কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার তিনটি মামলায়
জহিরুলের তিন স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় প্রদান করেন। তাদেরকে পৃথক মেয়াদে
সশ্রম কারাদ- এবং অর্থদ- প্রদান করা হয়। অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বাড়ি
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। তবে দুদকের মামলায় তিন স্ত্রীর
সাজা হলেও স্বামী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে
সকল মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। স্ত্রীদের সাথে প্রতিটি মামলাতেই দ্বিতীয়
আসামি হিসেবে নাম ছিলো জহিরুলের। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তার তিন স্ত্রী
আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দ-প্রাপ্ত তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।
তিনি
জানান- স্থাবর, অস্থাবর অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা
অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের
সশ্রম কারাদ- এবং ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদ-, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা
আক্তার কে চার বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদ- এবং
তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ৫১ লাখ ৯৯ হাজার
৮০০ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। আসামিদের প্রদত্ত অর্থদ-ের টাকা রাষ্ট্রের
কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদক কুমিল্লা কার্যালয়
সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি দায়েরকৃত পৃথক তিনটি মামলায়
সেলিনা আক্তার, আকলিমা আক্তার ও আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগ তদন্তপূর্বক মামলার বাদী ছিলেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা
কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান।