কুমিল্লার
লাকসামে নকল জুস কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারখানাটিতে
দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের কেমিক্যাল ও অস্বাস্থ্যকর রং মিশিয়ে নকল ফ্রুটি
জুস, লিচি ড্রিংকস, রোবট জুস, স্পিড আইস ললি, সেভেনআপ আইস ললি, তেঁতুলের
আচার, বড়ইয়ের আচার, ফাহিমের সেই আচার, টাটকা স্পেশাল চাটনি, টিকটক চিপসসহ
নানা ধরনের নকল শিশুখাদ্য উৎপাদন, প্যাকেটজাত ও বিপণন করে আসছিলেন ফাহিম
হোসেন।
বিএসটিআই কর্মকর্তারা জানান, অস্বাস্থ্যকর ও বিষাক্ত কেমিক্যালে
তৈরি এসব জুস, ড্রিংকস খেলে নানা ধরনের পেটের পীড়া, কিডনি বিকলসহ শিশুদের
মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নকল জুস ও
অস্বাস্থ্যকর শিশু খাদ্য তৈরির এ কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হাই
সিদ্দিকী এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
সিফাতুন নাহার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারখানার বিপুল পরিমাণ মালামাল
জব্দ করে ধ্বংস করেন।
পশ্চিমগাঁও ঠাকুর পাড়ার এরশাদ উল্লাহর টিনশেড ভবনে
দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটি চালাচ্ছিলেন চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পশ্চিমপাড়ার
তাজুল ইসলামের ছেলে ফাহিম হোসেন। অভিযানকালে কারখানার মালিককে না পেয়ে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী
কারখানার ম্যানেজার সাহাবুদ্দিনকে (২২) এক মাসের কারাদ- ও এক লাখ টাকা
জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদ- দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করেন।
ম্যানেজার সাহাবুদ্দিন লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙ্গা
গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে।
বিএসটিআই কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের
পরিদর্শক আরিফ উদ্দিন, ফিল্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম শাকিল, লাকসাম থানার
উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স অভিযান পরিচালনায়
সহযোগিতা করেন।