নিজস্ব
প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের
আদর্শ সদর উপজেলার কোটবাড়ী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে
করে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২
টায় শুরু হওয়া এই অবরোধ শেষ হয় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে। এর মধ্যে ঢাকা ও
চট্টগ্রামমুখী দুই লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এর ফলে মহাসড়কের দুই পাশে
অন্তত ১০ কিঃমিঃ যানজট সৃষ্টি হয়। অবরোধ শেষ গাড়ি চলাচল শুরু হলেও
যানবাহনের গতি বাড়েনি।
বিকাল সাড়ে ৫টায় ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে ফাঁড়ির
ইনচার্জ পরিদর্শক ইকবাল বাহার জানান, মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও ধীরে ধীরে
চলছে। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুতই যানজট কেটে
যাবে।
কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের ‘এশিয়া এয়ারকন’ সার্ভিসের
কর্মকর্তা খন্দকার কামরুল হাসান টিপু বলেন, মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের
আন্দোলনের ফলে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত আমাদের
সার্ভিসের চারটি বাস আটকা পড়ে। অপরদিকে বিপরীত পাশে কোটবাড়ি, পদুয়ার বাজার ও
কাউন্টারে তিনটি গাড়ি আটকে থাকে। আন্দোলন শেষ হওয়ার পর গাড়িগুলো গন্তব্যের
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অতিরিক্ত চাপের কারণে মহাসড়কে গাড়ি চলছে খুবই ধীর
গতিতে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা
বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী
এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। অবরোধে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী দুই লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে
যায়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু.
মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষার্থীরা
তাঁদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক তাঁদের দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপি
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানোর আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে
নেন।