স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মেহেদী হাসান রিদয় (২৫) নামে এক কুয়েত প্রবাসী। গত ২৫ জুন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় দেশটির কাবাদ এলাকায় নিজ গৃহে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। মেহেদী হাসান কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মাইজকার ইউনিয়নের আওড়াল গ্রামের পদদৈন্না বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে।
তার ভাই সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টায়ও ভাই আমার সাথে কথা বলেছে। এর আধঘণ্টা পর বাড়ি থেকে আমার বাবা কল করে বলেন যে, মেহেদী ভাই তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে বলতে ফাঁসিতে ঝুলে গেছে। তখন আমি দৌড়ে তার রুমে গেলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। ততক্ষণে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, প্রেম করে বিয়ে করছিলেন আমার ভাই। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। অনেকবার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারেননি। সেগুলো নিতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।
মেহেদীর বন্ধু মোস্তফা কামাল বলেন, মেহেদী মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও আমার সাথে কথা বলেছে। কিন্তু তাকে একদম স্বাভাবিক মনে হয়েছে। পরে শুনি সে আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। জানতে পারি পারিবারিক কলহের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
মেহেদী ২০১৮ সালে কুয়েত আসেন। তিনি কুয়েতে ইলেক্ট্রিকের কাজ করতেন। তার ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহিদ দুই
সাংবাদিকের নামে সড়কের নামকরণের
দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজন
মহান মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে প্রাণহারানো ভারতীয় সাংবাদিক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষ এর স্মরণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো স্থাপনা কিংবা সড়কের নামকরণের আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক মোস্তফা হোসেইন, সাংবাদিক প্রভাষ আমিন, সাংবাদিক শহিদুল আজম,অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মামুন সিদ্দিকী,কবি মতিন রায়হান ও প্রভাষক রেজাউল করিম । উল্লেখ্য , ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু সাক্ষাৎপ্রদানকালে ভারতীয় সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্যকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,দুই শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে কুমিল্লার সড়কের নামকরণ করবেন। দুই শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে কলকাতা প্রেসক্লাব অঙ্গনে ফলক স্থাপন করা হয়েছে। যা উদ্বোধন করেছেন,বাংলাদেশের তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে বিবৃতিদাতাগণ বিশ্বাস করেন।