বাসস:
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটে শেষ
মুহুর্তে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। পশুর হাটগুলোতে দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে
বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত হাট থাকলেও এখন
আর ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। হাটে ঘুরেফিরে দর-দামে
মিলে গেলেই নিয়ে নিচ্ছেন পছন্দের পশুটি। পশুর হাটগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত গরু
ও ছাগল। শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। গতকাল পর্যন্ত পশুর দাম
সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও আজ দাম কিছুটা চড়া। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মতে
দাম এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
শনিবার কুমিল্লার নেউড়া ও চৌয়ারা গরুর
হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাট ভর্তি বিভিন্ন জাতের দেশিয় ছোট, মাঝারি ও
বড় জাতের অসংখ্য গরু উঠেছে, হাটে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
তবে,পশুর হাটে আসা অধিকাংশ ক্রেতাই স্থানীয়ভাবে খামারে লালন-পালন করা দেশি
গরুই পছন্দ করছেন। অনেক ক্রেতা মনে করছেন শেষ দিনে দাম কমে যাবে। তখন
কোরবানির পশু তারা সস্তায় কিনবেন। আবার বিক্রেতারা মনে করছেন শেষ দিনে দাম
বাড়তে পারে, তাই তারাও কম দামে পশু বিক্রি করছেন না। তবে বাজারে ছোট ও
মাঝাকি আকারের গরুর চাহিদা সব থেকে বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এবছর পশুর
হাটে ভারতীয় গরুর প্রভাব কম। হাটে যেসব ক্রেতা আসছেন তারা দেশীয় জাতের গরু
এবং স্বাভাবিক খাবার দিয়ে খামারে লালন-পালন করা গরুই বেশি পছন্দ করছেন।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা বলেন, পরিবহনে করে গরু নিয়ে আসা, হাটে
তোলা, খাওয়ানো ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলা- এই পুরো সময়টা জুড়ে তাদের
হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া সব সময় গরুর দড়ি ধরে থাকা,তাকে সামলানো এবং
গরুর গোবর তোলাসহ নানান কারণে হাতও পরিচ্ছন্ন রাখা যাচ্ছে না।
হাটে গরু
কিনতে আসা সাইফুল আলম বলেন, ১৭ জুন পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই
চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই পছন্দের গরুটি কিনে নিতে। তিনি জানান,‘যতটুক ঘুরে
দেখেছি,আমার কাছে মনে হয়েছে- এবার গরুর দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু
বেশি।’
এদিকে বাজারগুলোতে গরুর পাশাপাশি হাটে প্রচুর ছাগলও উঠেছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির একটি ছাগল ক্রয় করা সম্ভব।