কুমিল্লার দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কে টহল পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে মোশারফ হোসেন নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছে থাকা দুই রাউন্ড কার্তুজ ভর্তি ১টি দেশীয় এলজি বন্দুক ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। আটক মোশারফ হোসেন (৩৫) বুড়িচং উপজেলার হালগাঁও গ্রামের আবদুল মতিন মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (১৪জুন) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া।
থানাসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতদেড়টার দিকে দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের নবিয়াবাদ এলাকার ভূইয়া বাড়ির সামনে সর্বসাধারণের গাড়ি ভেবে থানার একটি টহল গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। পরে টহল গাড়িতে থাকা এএসআই আবদুল কাদের ও এসআই মিশন বিশ^াস ডাকাত মোশারফকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও অন্তত ১০/১২জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফ হোসেন ডাকাতির কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে বিভিন্ন গাড়ি ও সিএনজি থামিয়ে ডাকাতি করাকালে সাধারণের গাড়ি ভেবে টহল পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করি। এসময় গাড়ির ভিতর থেকে পুলিশ বের হয়ে বন্দুকসহ আমাকে ধরে ফেলে। আমার সঙ্গে আরও ৫/৬জন ছিল তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল তাঁরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
দেবিদ্বার থানার এসআই মিশন বিশ^াস বলেন, বরকামতা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ এলাকায় নিয়মিত ডিউটি চলাকালে ডাকাত চক্রটি আমাদের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে মোশারফকে দেশীয় বন্দুকসহ আটক করা হয়। এসময় আরও ১০-১২জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.নয়ন মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মোশারফ অর্ধশতাধিক ডাকাতি করেছে বলে জানিয়েছে। ডাকাতিকালে তাঁর সঙ্গে আরও ১০/১২ ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। মোশারফের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির ১০টি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে কার্তুজ ভর্তি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। মোশারফসহ ৫জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত১০/১২ জনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুুপুরে তাকে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।