
কুমিল্লার
 দেবিদ্বার চোরাই স্বর্ণসহ চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে 
দেবিদ্বার থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর 
এলাকা থেকে তিনজন এবং চান্দিনা বাজার এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা 
হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। 
গতকাল বুধবার (১২জুন) দুপুরে কুমিল্লা আদালতে সোর্পদ করলে আসামীরা চুরির 
দায়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। 
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো, 
বরকামতা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামের মফিজ মাস্টারের বাড়ির শাহজাহান মিয়ার 
ছেলে মো. রবিউল (৩৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ (৩২), 
আলী আকবরের ছেলে অলি উল্লাহ(৩৫) এবং চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের করিম 
স্বর্ণকারের বাড়ির আ. করিম মিয়ার ছেলে মো. সোহেল রানা (৪২)।   
থানাসূত্রে
 জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল ওমান প্রবাসী মো. সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী রুমি 
আক্তার নবিয়াবাদ এলাকার বাসা থেকে দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহারে বাবার 
বাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় তিনি ঘরের সব দরজা তালাবন্ধ করে যান। পরে ২০ 
এপ্রিল বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে এলে ঘরের সব এলোমেলো দেখতে পান এবং 
কাঠের ওয়ারড্রোবে তালা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে
 যায়। পরে একই দিনে রুমি আক্তার বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় অজ্ঞাতনামা চোর 
চক্রের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫/১১১।
মামলার
 তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা জানান,  আটককৃতরা 
সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রথমে বরকামতা এলাকা থেকে রবিউল, সোহাগ 
এবং অলি উল্লাহকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে চুরির দায় স্বীকার করায় 
তাদের দেয়া তথ্যে চান্দিনা বাজারের আবদুল্লাহ জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া 
স্বর্ণসহ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন কুমিল্লা আদালতে
 চুরি দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। 
দেবিদ্বার 
থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্রের 
চারজনকে  গ্রেপ্তারপূর্বক বুধবার (১২জুন) দুপুরে কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ 
করা হয়েছে। আদালতে আসামীরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের দেয়া 
তথ্যে চুরি হয়ে যাওয়া ৬ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। 
                                                                                
