কোকাকোলা বাংলাদেশ তাদের আলোচিত-সমালোচিত বিজ্ঞাপনটি আবারও দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যা থেকে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপনটি দেখা যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল থেকে কোকাকোলা বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিজ্ঞাপনটি দেখা যায়নি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে বিজ্ঞাপনটি দেখা গেলেও কমেন্টস করা যাচ্ছে না। এই অপশনটি বন্ধ রেখেছে কোকাকোলা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ঘোষণা বা বক্তব্য দেয়নি তারা।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু নিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় কোকাকোলা। ইসরায়েলি সমর্থনের অভিযোগে মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকেরা কোকাকোলা বয়কটের ডাক দেয়। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।
সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে একটি বিজ্ঞাপন বানায় কোকাকোলা বাংলাদেশ। তবে অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়ে কোম্পানিটি। ইতোমধ্যে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ঝড়। সেই সাথে অভিনেতাদের দেয়া হয়েছে বয়কটের হুমকি।
সমালোচনার মুখে পড়া কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, আসলে সেই দেশের পণ্য নয় কোকাকোলা। মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে। ১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে।
বিজ্ঞাপনটিতে শরাফ আহমেদ জীবন ছাড়া আরও মডেল হয়েছেন অভিনেতা শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনটি নির্মাণের পেছনেও রয়েছেন শরাফ আহমেদ জীবন।
গতকাল সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জীবন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, কাজটি তার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র। তিনি সব সময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছেন। অভিনেতা শিমুল শর্মা এ নিয়ে ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়েছেন।