শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
১২ শ্রাবণ ১৪৩১
পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার দাবি এমপিদের
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ১২:৪৭ এএম |




জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র এমপিরা আর্থিক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তারা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পাচারকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানান। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরী দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এই দাবি তোলেন।
সংসদ সদস্যদের এসব সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনিয়মের যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো অনেকটা ঢালাও অভিযোগ। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়। সম্পূরক বাজেটে ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরী দাবির ওপর ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেওয়া হলেও আলোচনা হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওপর। বাকি প্রস্তাবগুলো আলোচনা ছাড়াই ভোটে দেন স্পিকার।
ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আর্থিক বিভাগের অনিয়মের প্রতিবাদ হিসেবে তিনি ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মতে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বড় কাজ ব্যাংকিং খাতকে তদারকি করা। কিন্তু জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে, ব্যাংকে অনিয়ম হচ্ছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কী তদারকি করছে? পিকে হালদার কয়েক হাজার কোটি নিয়ে চলে গেছেন। বিভিন্ন সময় বড় বড় প্রতিষ্ঠান ঋণ নেয়, পরে তাদের সুদ মওকুফ করা হয়। এসবের জবাব কি অর্থমন্ত্রী দিতে পারবেন?
তিনি বলেন, ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অথচ ৫০ হাজার টাকার জন্য কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর্থিক খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এখানে টাকা খরচ করা কেন। চুপ থাকাই ভালো।
জাতীয় পার্টির এই এমপি বলেন, ডলার সংকটের বড় কারণ পাচার। আগের অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছুই শুনতে চাইতেন না। আর্থিক খাতে অনিয়ম বন্ধের দাবি জানিয়ে চুন্নু বলেন, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা যেই হোক যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন, কানাডা, ইউরোপ আমেরিকায় বাড়ি, হোটেল করেছেন তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করা হোক। টাকা ফেরত আনতে না পারলেও তাদের চিহ্নিত করার দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ বলেন, দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে যে সংযত নীতি পরিহার করে আরও উদার হওয়া দরকার। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরেক স্বতন্ত্র সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কেন অতিরিক্ত মঞ্জুরি দাবি করেছে তার সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। অতীতে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশে লুটপাট করে যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের সে অর্থ ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও যোগাযাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনিয়মের অভিযোগ
আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা তার খবর নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এ প্রকল্পে যারা লার্নিং করতে আসে তারা সঠিকভাবে আত্মস্থ করতে পারে না। এখানে অপব্যয় হচ্ছে।
পংকজ নাথ বলেন, আইসিটি খাতে কাজ যে হচ্ছে না তা ঠিক নয়। তবে দোয়েলের বাক্স খুললে যদি চায়নিজ কম্পিউটার পাওয়া তাহলে এটা কি অপচয় না দুর্নীতি? এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাটা কী নিয়েছেন তা সংসদ জানতে চায়। দোয়েলের বাক্স খোলার পরে দেখা গেল চায়নিজ পঁচা মাল। এরপর বন্ধ করে দিলেন।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের নামে যে কম্পিউটার দিয়েছেন তা কি আদৌ কাজ হচ্ছে নাকি জং ধরে গেছে? ডাক বিভাগের আধুনিকায়নের নামে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। ডাক বিভাগের জমির অবস্থা কী জানতে চান পংকজ নাথ।
















সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
চিরচেনা রূপে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লায় আট মামলায় গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
অফিসে হামলার সময় চেয়ে চেয়ে দেখলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দালিভ রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft