তিন
ম্যাচের জয়খরা কাটিয়ে যে আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছিল ইংল্যান্ড, তিন দিন যেতেই
সেই আলো ফিকে হতে বসেছে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে শেষ প্রস্তুতি
ম্যাচে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে একরাশ হতাশা উপহার দিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের
দল। হেরে গেছে উজ্জ্বল আইসল্যান্ডের বিপক্ষে।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতের প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে স্মরণীয় জয় পেয়েছে আইসল্যান্ড।
আইসল্যান্ডের
বিপক্ষে এই নিয়ে ছয়বারের দেখায় দ্বিতীয়বার হারের তেতো স্বাদ পেল
ইংল্যান্ড, জিতেছে তিনবার, অন্যটি ড্র। আগের পরাজয়টি ছিল ২০১৬ ইউরোর শেষ
ষোলোয়।
আগামী ১৪ জুন জার্মানিতে মাঠে গড়াবে ইউরোর এবারের আসর। শেষ
পর্বের প্রস্তুতিতে গত সোমবার বসনিয়া-হার্জেগোভিনাকে ৩-০ গোলে হারায়
ইংল্যান্ড। কাটে তাদের তিন ম্যাচের জয়খরা। এক ম্যাচেই তাদের জয়যাত্রা মুখ
থুবড়ে পড়ল।
চোট কাটিয়ে উঠলেও পূর্ণ ম্যাচ ফিটনেস পাওয়ার লড়াইয়ে থাকা
হ্যারি কেইন নামেন শুরুর একাদশে। এবারের প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় ফিল
ফোডেনও ফেরেন।
এতে দলটির আক্রমণভাগে শক্তি বাড়লেও মাঠে তার প্রতিফলন
পড়েনি। দ্বাদশ মিনিটে ওয়েম্বলিকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় আইসল্যান্ড, গোলটি
করেন ফরোয়ার্ড জন ডেগার।
প্রথমার্ধের বাকি সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি
আক্রমণে আধিপত্য করলেও খুব বেশি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি
ইংল্যান্ড। একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন কেইন; কিন্তু ছয় গজ বক্সের মুখ
থেকে তার ভলি ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
বিরতির পর উল্টো চাপ বাড়াতে
থাকে আইসল্যান্ড। তাদের পাল্টা আক্রমণে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডের রক্ষণ
উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। প্রথম ২০ মিনিটে নিশ্চিত দুটি সুযোগও পায় তারা, তা থেকে
কোনোমতে বেঁচে গেলেও ইউরোর আগে যা ইংল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট ভাবনার কারণ।
দলের
এমন বর্ণহীন পারফরম্যান্সে হতাশ হয়ে ম্যাচ শেষের বেশ আগেই ওয়েম্বলি ছাড়তে
দেখা যায় অনেক ইংলিশ সমর্থককে। শেষ দিকে মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায়
স্বাগতিকদের; কিন্তু গোলমুখে কেউ কার্যকর হতে পারেনি।
আগামী ১৬ জুন
সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরোয় পথচলা শুরু গতবারের রানার্সআপদের। ‘সি’
গ্রুপে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া ও
ডেনমার্ক।