
কয়েকদিনের
টানা বৃষ্টির প্রভাবে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আউশ
চাষিদের জন্য। এতে আউশ মাঠে পর্যাপ্ত পানি জমায় আউশ আবাদে তোড়জোড় শুরু
করেছে কৃষকরা। ভারী বৃষ্টির ফলে শুকনো মাঠে পানি জমায় আউশ চাষিরা যেন সোনায়
সোহাগা। আউশ চাষিদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। মাঠে মাঠে পুরোদমে
চলছে আউশের জমি প্রস্তুত ও রোপণের কাজ।
জানা গেছে, এ উপজেলায় টানা
বৃষ্টির আগে বৃষ্টির অভাবে আর তীব্র রোদে ইতিপূর্বে তৈরি করা আউশের বীজতলা ও
আউশ মাঠ শুকিয়ে বৈরী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এতে আউশ আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে
পড়েছিলেন আউশ চাষিরা। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ও
তার পরবর্তী ভারি বৃষ্টিতে আউশ মাঠে পানি জমায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত কৃষকদের
মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এখন আউশের মাঠে মাঠে পুরোদমে চলছে জমি প্রস্তুত ও
ধানের চারা রোপণের কাজ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর আউশধান
আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজর ৪৯৬ হেক্টর। অনাবৃষ্টির কারণে আউশ
আবাদ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে অঝোর বৃষ্টিতে
আউশের মাঠে মাঠে পানি জমেছে। এতে এই উপজেলার আউশ চাষিদের মধ্যে
প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এখন মাঠে মাঠে চলছে আউশ আবাদের কাজ। আউশ আবাদে
কৃষকদের সবরকমের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলার
দীর্ঘভূমি এলাকার আউশ চাষি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আউশধান পুরোপুরি
বৃষ্টিনির্ভর ফসল। এই ধান রোপণের শুরু থেকে ধান গজানো পর্যন্ত কৃষকরা
বৃষ্টির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে এ বছর আউশ ধানের বীজতলা তৈরি থেকে আউশ
ধানের চারা রোপণের সময়টাতে টানা দাবদাহের ফলে আউশের জমি পানিশূন্য হয়ে
শুকিয়ে পড়েছিল। এর ফলে আউশ আবাদ বাধাগ্রস্ত হয়। পরে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে
মাঠে বৃষ্টির পানি জমে আউশ আবাদকে সুগম করে তুলেছে। আমরা এখন জমি প্রস্তুত
ও জমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছি।