রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার,
মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ
প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি
জানান, সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে ৩০
হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার
মেট্রিক টন টিএসপি সার এবং ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার রয়েছে।
অতিরিক্ত
সচিব জাহেদা পারভীন আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির
মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যাল মার্কেটিং
অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনাজাত) থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক
টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে
সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন
সারের দাম পড়বে ২৮০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৭৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস এ মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন
(বিএডিসি)'র মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ওসিপি এস এ মরক্কোর কাছ থেকে
পঞ্চম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব করা হয়। এতে
ব্যয় হবে ১৩৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫ ০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম
পড়বে ৩৮০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৭৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয়
পর্যায়ে সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই
হওয়া চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাআদেনের কাছ থেকে ষষ্ঠ লটের ৪০ হাজার
মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে
২৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের সারের দাম পড়বে ৫১৯
মার্কিন ডলার। যা আগেও ছিল ৫১৯ মার্কিন ডলার।