![নাঙ্গলকোটে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী’র গাড়ীতে গুলি]( https://www.comillarkagoj.com:443/2024/06/05/CK_1717525693.jpg)
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপের ভোট রাত পোহালেই। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় প্রথম দাপে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও হাইকোর্টে এক প্রার্থী রিট করায় নির্বাচন স্থগিত হয়। সর্বশেষ হাইকোর্ট ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪র্থ ধাপে বুধবার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই উপজেলায় পালকি প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বাপ্পা সোহাগ নামে এক প্রার্থীর গাড়ীতে হামলা ও গুলি করার অভিযোগ করেন ওই প্রার্থী নিজেই। উপজেলার ঢালুয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ঢালুয়া বাজারে রাত ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু ইউসুফ ভূঁইয়া ও চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আ’লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছিরের সমর্থকদের মাঝে সংর্ঘষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, ঢালুয়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন, আলী আক্কাস, তেলপাই গ্রামের মাহবুবুল হক, বাকীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
হামলার শিকার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাপ্পা সোহাগ বলেন, আমি মান্নারা থেকে ঢালুয়া হয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় উপজেলা আ’লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু ইউসুফ ভূঁইয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি চশমা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সুমনের সমর্থকেরা আমার গাড়িতে ২০রাউন্ড গুলি করে, আমার প্রাইভেটকার ভাংচুর করে, আমি ও আমার ড্রাইভারকে মারপিট করে। আমি যদি গাড়ীর নিচে বসে না যেতাম তাহলে এতক্ষণে আমি লাশ হয়ে যেতাম। এসময় আমি দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। আমার গাড়ীতে ঢালুয়া গ্রামের মোছেন, তার ছেলে দেলু গুলি করে। এছাড়াও হামলায় একই গ্রামের খোরশেদ ও চকন সহ ২০-৩০জন সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণ করে। এসময় তিনি বলেন আমি কি অন্যায় করেছি, প্রশাসন বলেছে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, তাহলে এখন আমার উপর হামলা কেন? সুস্থ নির্বাচন হবে বলাতে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি, আমিতো কারো ক্ষতি করি নাই, কেন আমার উপর এমন হামলা হলো। আমি প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরীকে (০১৩২০১১৪২৩০) একাধিক বার ফোন দিয়ে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।