রণবীর
ঘোষ কিংকর: কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদরের চৌধুরী মার্কেটের দ্বিতীয়
তলায় অবস্থিত মক্কা রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার
(৩ মে) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযান পরিচালনা করেন চান্দিনা উপজেলা
সহকারী (ভূমি) সৌম্য সরকার। এসময় রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে ১টি মামলায় ১৫
হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে চান্দিনা থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা
সহযোগিতা করেন।
এসময় রেস্তোরাঁটির ফ্রিজে পঁচা ডিম, বাসি মাংস খুঁজে
পাওয়া যায়। ক্যাশ টেবিলের বক্সে পাওয়া যায় মেয়াদ বিহীন বার্গার বান। স্টোর
রুমে পাওয়া যায় বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া কেওড়া জল, টমেটো সস সহ বিভিন্ন
মশলা। রান্না করা খাবারে দেওয়া হয়নি ঢাকনা, বসছে মশা-মাছি। নোংড়া টয়লেটের
পাশেই রান্না ঘর। বাবুর্চি ও বয়দের মাথায় ক্যাপ নেই। রেস্তোরাঁটিতে ছিল
নোংড়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এসব চিত্র দেখা যায় ওই রেস্তোরাঁয়।
ভ্রাম্যমান
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চান্দিনা উপজেলা সহকারী (ভূমি) সৌম্য
সরকার বলেন- রান্নাঘর এবং টয়লেট পাশাপাশি থাকায় এগুলো দূরে সরিয়ে নিতে ৬মাস
সময় দেওয়া হয়েছে। নোংড়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সহ সবকিছু ঠিক করতে ১ মাস
সময় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নানা অর্ভিযোগে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে ওই রেস্তোরাঁয় আগত ক্রেতাদের মধ্যে খাবারের মান ও দাম নিয়ে রয়েছে
নানা অভিযোগ।
এব্যাপারে মো. জাকির হোসেন নামের একজন ক্রেতা জানান, ‘এই
হোটেলে খাবারের মান ভালো না কিন্তু দাম অনেক বেশি। আমি এ ব্যাপারটি
ম্যানেজারকে জানালে তিনি এবং তার একজন সহযোগী আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।’
অপরদিকে
গত কয়েকদিন যাবৎ রেস্তোরাঁটির নিম্ন মানের খাবার এবং উচ্চ মূল্যের বিষয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। এতে মক্কা রেস্তোরাঁর মোরগ পলাউ
এর পেকেটে পোকা পাওয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টও চোখে পরে। এছাড়া বিভিন্ন সময়
ক্রেতাদের সাথে হোটেলের ম্যানেজার ও মালিকপক্ষের অসদাচরণের বিষয়টিও সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসে।