কুমিল্লা
মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় ধর্মপুর সড়কটির অবস্থা এতই খারাপ পথচারী
ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ২৭ মে রিমাল আঘাতহানার ৬দিন
পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লার এই সড়কের বেহাল দশা এখনো কাটেনি। সড়কের গর্তগুলোতে
বৃষ্টির পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে। কোথাও গর্তের মধ্যে পানি ও কাদা জমে
একাকার যা নগরবাসীর যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন সড়কটির
বেহাল দশা থাকলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। অথচ গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কে প্রতিদিন
হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন
হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ,
কুমিল্লা মডার্ণ প্রাইমারী স্কুল ও মডার্ণ হাইস্কুল, ফরিদা বিদ্যায়তন, আর
আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কুমিল্লা আইন কলেজ, রাণীর বাজার, রেলস্টেশন,
শাসনগাছা বাস টার্মিনাল, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সড়ক জাগুরজুলি
এলাকার মানুষ যাতায়াত করে।
ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রী শাখার ফারুক
আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমি দীর্ঘদিন এই সড়কে কান্দিরপাড় আসা
যাওয়া করি। ভোগান্তি নিয়ে মানুষ এই সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু
শহরের অধিকাংশ সড়কে আমি চলাচল করেছি এই সড়কটির মত শহরে আর কোন সড়ক আছে বলে
আমার মনে পরছে না। প্রতিদিন এই সড়কে কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী
মানুষ আসা-যাওয়া করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
রিক্সাচালক মতিউর রহমান
জানান, আমি সারাদিন এই রাস্তায় রিক্সা চালাই। পুরো রাস্তাটি ভালো থাকলেও
এইখানে আসলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। কেননা এখানে আসার পর রিক্সার চাকা গর্তে
পরে আর উঠতে চায়না। পরে আমি কাদা পানিতে নেমে রিক্সা উঠাতে হয়। আমাদের কষ্ট
কেউ দেখেনা। কথা বলে কি হবে।
সড়কের পাশে ভাসমান কাপড় দোকানদার সেলিম
মিয়া জানান, সেই যে ঘূর্ণিঝড় হইছে এই পর্যন্ত পানি লেগেই আছে। এখানে অনেক
রিক্সা, অটোরক্সি কাদা পানিতে পরে নষ্ট হয়। পানি এখন একটু কমেছে। আগে আরো
বেশি পানি ছিল। কয়েকদিনের রোদে পানি অনেকটা শুকিয়েছে। অনেক সময় রাস্তার পাশ
দিয়ে পথচারীরা চলাচলের সময় রাস্তার কাদা পানি ছিটকে এসে মানুষের গায়ে পরে
কর্দমাক্ত হয়ে কাপড় নষ্ট হচ্ছে।
এই বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবু সায়েম ভূঁইয়া কুমিল্লার কাগজের এই প্রতিবেদককে
জানান, কান্দিরপাড় থেকে ধর্মপুরের দিকে যে রাস্তাটি গিয়েছে সেই রাস্তায়
ড্রেনের কাজ চলছে যার কারণে রাস্তাটির মেরামত করা হয়নি। ড্রেনের কাজ প্রায়
শেষ পর্যায়ে। আসছে ঈদুল আযহার আগেই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।