পঞ্চগড়ে ৯ মাসের কন্যা সন্তানের পিতৃপরিচয় ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুমানা আক্তার (২৬) নামে এক নারী। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের যৌতুকের দাবিতে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজ নগর গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে সাদেকুল ইসলাম রাকিবসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে পঞ্চগড় সদরের ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চছপাড়া ঠুটাপাখুড়ি গ্রামে বোনের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সাম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতনের শিকার স্ত্রী রুমানা আক্তার ও তার ৯ মাস বয়সের সন্তান জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ স্থানীয় গ্রামবাসী।
এসময় সন্তানের ভবিষ্যতের কথা জানিয়ে সংসার ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আক্তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিয়ের পর থেকে ঢাকায় কাজের সুবাধে আমার স্বামী সাদেকুল ইসলাম রাকিবসহ ঢাকা দীর্ঘদিন ছিলাম। এর মাঝে আজিজ নগর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে এলে যৌতুকের দাবি তোলেন শাশুড়ি মাজেরানা খানম রিনা। পরে ছেলে সাদেকুল ইসলাম রাকিব ও শ্বশুরকে নিয়ে পরিবারের আরও দুইজন মিলে যোগসাজশে আমার ওপর যৌতুকের দাবিতে অমানসিক নির্যাতন চালায়। আমার বাবা-মা মারা যাওয়ায় তাদের দাবি পূরণ করতে না পারায় তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে। এর মাঝে আমার ৯ মাসের কোলের সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা। পরে আমাকে ও সন্তানকে গ্রহণ না করায় আমি ভাইয়ের বাড়িতে এসে গত ৯ মার্চ যৌতুকের জন্য মারপিট করায় নারী ও শিশু নির্যাকন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- ৩০/২০২৪।
রুমানা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করেন, আমরা জানি বাংলাদেশের মিডিয়া নারী ও শিশুবান্ধব। অথচ দিনের পর দিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে আমাকে নির্যাতন করে আসছে। আমি এবং সন্তান এখন বাইরে ভেসে বেড়াচ্ছি। আমার শাশুড়ি তেঁতুলিয়া উপেজলায় পরিবার পরিকল্পনায় মাঠ পর্যায়ে চাকরি করেন। শ্বশুর বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন। তারা টাকার গরম দেখাচ্ছে। আমি আমার সংসার ফিরে চাচ্ছি ও আমার সন্তানের পিতৃপরিচয় ফিরে চাচ্ছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। তারা একজন অসহায় মা ও মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে পারে তারও বিচার দাবি করছি। আমার মতো আর কোনো সন্তানের মা যেন সন্তানসহ নির্যাতনের শিকার না হয়।