শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
১২ শ্রাবণ ১৪৩১
চার মাসে উদ্ধার ১৬১ লাশ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ১:১১ এএম |

চার মাসে উদ্ধার ১৬১ লাশ
সমাজে খুনখারাবিসহ অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধÍকোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সারা দেশেই অপ্রীতিকর ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অবলম্বনে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ১৬১ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
এর মধ্যে শুধু গত এপ্রিল মাসেই উদ্ধার করা হয়েছে ৫৮টি লাশ, যার মধ্যে ৬৬ শতাংশ তরুণ-তরুণী। উদ্ধার করা বেশির ভাগ লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত চার মাসে গড়ে ৪০টি করে লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে ২০২৩ সালের প্রতি মাসে উদ্ধার করা হয়েছে গড়ে ২৯টি লাশ।
অর্থাৎ উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা বেড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বলছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, পারিবারিক কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হত্যাকা- ঘটিয়ে রাস্তাঘাটে, বনে, ঝোপঝাড়ে কিংবা বিভিন্ন নির্জন স্থানে এসব লাশ ফেলা হয়েছে। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধীরা পরিকল্পিতভাবে কাউকে তুলে এনে হত্যার পর লাশ গুম করে। আলামত নষ্ট করতে এক এলাকায় হত্যা করে অন্য এলাকায় লাশ ফেলে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে লাশ উদ্ধারের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। তাই নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করাও জরুরি।
আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে উদ্ধার করা লাশের সংখ্যার দিকে তাকালে দেখা যাবে, গড়ে প্রতি মাসেই বেশিসংখ্যক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব বেওয়ারিশ লাশের বিরাট একটি অংশ হত্যার শিকার।
অর্থাৎ এ কথা স্পষ্ট করে বলার সময় এসেছে যে সমাজের কিছু মানুষ বোধ হয় দিন দিন অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। পারিবারিক কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গুপ্তহত্যার শিকার হয় কেউ কেউ। পরে ওই হত্যার ঘটনা লোকচক্ষুর আড়াল করতে নদী, ডোবা কিংবা খালে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটন করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তবে নজরদারি আরো বাড়ানোসহ প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হতাশা থেকে রাগ ও ধৈর্য হারানোর ঘটনা ঘটছে এখন। ধৈর্যচ্যুতির কারণে অল্পতেই সহিংস হয়ে উঠছে মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে। এভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দেবে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। তাদের আরো তৎপর হতে হবে।












সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
চিরচেনা রূপে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লায় আট মামলায় গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
অফিসে হামলার সময় চেয়ে চেয়ে দেখলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দালিভ রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft