গত
বছরের তুলনায় চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাশের
হার এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা
বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী। গেল বছর পাশের হার ছিল ৭৮
দশমিক ৪২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ৬২৩ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে
গত বছরের চেয়ে এবারের ফলাফলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
রোববার (১২ মে)
বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো.
আসাদুজ্জামান ফলাফল ঘোষণার পর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সাংবাদিকদের কাছে
বিশ্লেষণ করেন।
এ সময় তিনি জানান, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে
ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার এক
হাজার ৭৮০টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এদের মধ্যে ছাত্র ৭৪ হাজার ৭৩০ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৪ হাজার ৫৯৫ জন।
উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৮১ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র
৫৮ হাজার ৭৮২ জন এবং ছাত্রী ৮৩ হাজার ২৯৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৭ হাজার
২৪৪ জন। পাশের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ জন।
জিপিএ-৫ এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৬ হাজার ৮৩৬ জন ছাত্রী এবং ৫ হাজার ২৬৪ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এ
সময় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল ইসলাম
জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবছর গণিত
বিষয়ে অকৃতকার্যের সংখ্যা বেশি।
এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে কুমিল্লা
শিক্ষা বোর্ডে চাঁদপুর জেলায় পাসের হার বেশি, ৮৩ দশমিক ৩২। সর্বোচ্চ
জিপিএ-৫ বেশি কুমিল্লা জেলায়, ৫ হাজার ৩৪৬ জন। শতভাগ পাস করা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমিল্লা জেলায়, ৪৪টি। নোয়াখালী ও ফেনী জেলায় পাসের হার
বোর্ডের গড় পাসের হারের চেয়ে কম। লক্ষ্মীপুর জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বনি¤œ
৮০০ জন।
এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুল থেকে ১
হাজার ২২০ জন পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫৪ জন। বোর্ডে সর্বোচ্চ
জিপিএ-৫ পেয়েছে এই বিদ্যালয়। এরপর কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ৩৯৫ জন ও নবাব
ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বোর্ডের অধিভুক্ত ছয় জেলা শহরের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরের মতো
এবারও ভালো করেছে।
এদিকে ফল ঘোষণার পর কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উল্লাস করে। বাদ্যযন্ত্র বাজায়।
শিক্ষার্থীরা সেলফি তোলে। নগরের মিষ্টি দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা
গেছে। নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা
আক্তার বলেন, মেয়েরা পড়াশোনায় যতœশীল। নিয়মিত পড়াশোনা করায় ওরা ভালো করেছে।