ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও কার্তুজসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, ৬ মে রাত ১টায় মডেল থানার এস.আই মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ থানায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ১৪/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অথবা দাউদকান্দি থানার যে কোন বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন হতে দাউদকান্দির কানড়াগামী রাস্তার ডান পাশে নির্জন জায়গা ডাকাতি করার জন্য একসাথে হয়েছে।
সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবীর সোয়েব, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শহিদুল্লাহ প্রধানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযানে বের হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে, পুলিশের উপর আক্রমন করার চেষ্টা করলে, পুলিশ ২৫ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে। এ সময় ডাকাতরা দৌড়ে পালানোর চেস্টা করলে পুলিশ তাদের পিছু নেয় এবং তাদের মধ্যে থেকে ৫ জন কে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়। অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
আটককৃত আসামীরা হলো, মকবুল হোসেন (৩৭) দাউদকান্দি, ওবাইদুল (২৮), তিতাস, আকাশ মুন্সী (৪৩) দাউদকান্দি, সুজন আঃ হামিদ (৩৭), কচুয়া, চাঁদপুর ও জামাল হোসেন কুদ্দুস (৪০) দাউদকান্দি।
আটককৃতদের তল্লাসি চালিয়ে তাদের নিকট থাকা লোহার তৈরী সচল পাইপ গান, ২টি কার্তুজ, একটি লোহার তৈরী ছোরা, একটি লোহার তৈরী রমাদা, দুইটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী রামদা ও দুইটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে আসামীরা আরো জানায়, তারা উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকায় বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছিল। এছাড়াও আসামীরা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বাসা বাড়িতে একাধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে।
আসামীরা আরো স্বীকার করে যে, তারা বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার পূর্বে তাদের কিছু লোক সে এলাকায় রেকি করে যাতায়াতের পথ ঘটনার পূর্বেই জেনে নেয়। এছাড়াও তারা বৃষ্টির রাত, অমাবশ্যার রাত বা তার আগে ও পরে অন্ধকার রাত্রীতে ডাকাতি করে থাকে । তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যা মামলা রয়েছে।