শুক্রবার ৮ নভেম্বর ২০২৪
২৪ কার্তিক ১৪৩১
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ১:১৩ এএম |

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড
পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। পৃথিবীর যেকোনো সভ্য জাতিই তাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে। আর আমাদের সুন্দরবন তো শুধু আমাদের নয়, বিশ্ব ঐতিহ্যেরই অংশ। তাই একে নিয়ে আমাদের গর্বিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সুন্দরবন আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে সুন্দরবন প্রতিদিন তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি নেই। সুন্দরবনে প্রতিনিয়ত মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে, অর্থনৈতিক কর্মকা- বাড়ছে, দূষণ বাড়ছে, অবৈধ কর্মকা- ও অত্যাচার বাড়ছে। ফলে সুন্দরবন ক্রমেই ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে।
আমরা কথায় বলি সুন্দরবন আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। কিন্তু সুন্দরবনের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আমরা খুব কমই পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রায় প্রতিবছরই সুন্দরবনের ভেতরে এক বা একাধিক ইচ্ছাকৃত অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের লফিফের ছিলায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।
সুন্দরবনে ২০০২ সালে কটকা এলাকায় একবার, নাংলী ও মান্দারবাড়িয়া এলাকায় দুইবার, ২০০৫ সালে পচাকোরালিয়া, ঘুটাবাড়িয়ার সুতার খালে দুইবার, ২০০৬ সালে তেরাবেকায়, আমুরবুনিয়া, খুরাবাড়িয়া, পচাকোরালিয়া ও ধানসাগর এলাকায় পাঁচবার, ২০০৭ সালে পচাকোরালিয়া, নাংলী ও ডুমুরিয়া এলাকায় তিনবার, ২০১০ সালে গুলশাখালীতে একবার, ২০১১ সালে নাংলীতে দুইবার, ২০১৪ সালে গুলশাখালীতে একবার, ২০১৬ সালে নাংলী, পচাকোরালিয়া ও তুলাতুলিতে তিনবার, ২০১৭ সালে মাদ্রাসা ছিলায় একবার, ২০২১ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর এলাকায় আগুনে চার শতক বনভূমি পুড়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনে আগুনে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। ২০২১ সালের ৩ মে সুন্দরবনের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে।
এর আগে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তৎকালীন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) ইউনুছ আলী কিছু সুপারিশ করেছিলেন। সুন্দরবন রক্ষায় ভোলা নদী খনন, লোকালয়ের কাছাকাছি কাঁটাতারের বেষ্টনী দেওয়া, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন—এই চারটি সুপারিশ করেছিলেন তিনি।
এসব সুপারিশ কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে? শুধু সিসিএফ ইউনুছ আলীর সুুপারিশ নয়, আগের বিভিন্ন অগ্নিকা-ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর কোনো সুপারিশ কি আলোর মুখ দেখেছে?
বন দখল করে মানুষের বসতি স্থাপন বা অর্থনৈতিক কর্মকা- সম্প্রসারিত হওয়ার কারণেও সুন্দরবন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুন্দরবন রক্ষায় ভোলা নদী দ্রুত খনন করাসহ সেই চারটি প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সুন্দরবনের ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। বনে অবৈধ প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আশা করি, সরকার এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দেবে।













সর্বশেষ সংবাদ
জিয়াউর রহমানক্ষমতার লোভী ছিলেন না: হাজী ইয়াছিন
কুমিল্লায় মাদ্রাসার ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, ওয়াশরুম থেকে লাশ উদ্ধার
ময়নামতিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা
জিয়াউর রহমান কোন অবস্থাতেই এ দেশ থেকে পালিয়ে যাননি
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কলকাতায় পলাতক কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহারের নতুন ছবি প্রকাশ্যে
কুমিল্লায় মাদ্রাসার ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
লালমাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
জিয়াউর রহমানক্ষমতার লোভী ছিলেন না: হাজী ইয়াছিন
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২